নয়াদিল্লি: আর্থিক সংকটে থমকে পরিকাঠমোগত উন্নয়নের কাজ। যে প্রধান দুটি ঘাঁটিতে রাফাল জঙ্গি বিমানগুলো মোতায়েন করার কথা রয়েছে, টাকার অভাবে বাধাগ্রস্ত পরিকাঠামো তৈরির কাজ। অথচ, সেপ্টেম্বরে প্রথম জঙ্গি বিমানটি মোতায়েন করার কথা রয়েছে।
সূত্রের খবর, ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টে হরিয়ানার আম্বালায় এবং ইস্টার্ন ফ্রন্টে পশ্চিমবঙ্গের হাসিমারায় বিমানের হ্যাঙ্গার তৈরির কাজ চলছে। শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যেই। কিন্তু মাত্র এখন পর্যন্ত মাত্র ৪০ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসের (এমইএস) কনট্রাক্টরদের বাজেট কমিয়ে দেয়ায় বাকি কাজ থমকে আছে। বিএআই প্রেসিডেন্ট প্রাভিন মাহানার বক্তব্য অনুযয়ী, বকেয়া পেলে তবেই বলা যাবে কাজ কখন শেষ হবে। সূত্রের খবর, অর্থ সঙ্কটের কারণে বারিলি, সুলুর এবং তাম্বারামের মতো বিমান ঘাঁটিগুলোর কাজও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
এই ঘাঁটিগুলোতে জঙ্গি বিমান, হেলিকপ্টার ও পরিবহন বিমান রাখা হয়। বারিলির ত্রিশুল বিমান ঘাঁটিতে সুখোই বিমানগুলো রয়েছে। চিনের বিরুদ্ধে কৌশলগত অবস্থানের জন্য এটা গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু অর্থ সঙ্কটের কারণে সেখানকার রানওয়ে উন্নয়নের কাজ থমকে আছে। মাহানা আরও বলেন, সকল বিমান ঘাঁটিগুলোতেই অর্থের অভাবে প্রকল্পগুলো বন্ধের উপক্রম হয়ে আছে। বিআই সূত্রে আরও জানা গেছে, টাকার অভাবে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ করে শ্রীনগর, লে ও কার্গিলের অনেক প্রকল্প স্থগিত হয়ে আছে। এর মধ্যে কর্মকর্তা এবং জওয়ানদের থাকার জায়গার কাজও রয়েছে। শ্রীনগরে তুষারের কারণেও অনেক কাজ বন্ধ আছে। সেখানেও প্রায় ২৫ কোটি বকেয়া রয়েছে। সবমলিয়ে একসময় প্রায় ১৬০০কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছিল। পড়ে বেড়ে হয় ২ হাজার কোটি টাকা। সেখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রক থেকে মাত্র আড়াইশো কোটি টাকা মিলেছে বলেও বিআইএর পক্ষে থেকে জানানো হয়েছে।