নয়াদিল্লি: করোনা মহামারীর আতঙ্কে জেরবার গোটা বিশ্ব৷ করোনাকে রুখতে ইতিমধ্যেই দীর্ঘ লকডাউনের পথে হাঁটেছে কেন্দ্র৷ লকডাউন পরবর্তী আনলক-৪ পর্ব শুরু হলেও এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা সংক্রমণ৷ উল্টে আরও বেড়েছে৷ লাগাতার ৪৯ দিন দৈনিক সংক্রমনের নিরিখে বিশ্বে শীর্ষ স্থান দখল করে রেখেছে ভারত৷ ফলে পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে ইতিমধ্যেই করোনা প্রভাবিত ৭ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী৷ আর সেখানেই আরও এক দফায় সাপ্তাহিক লকডাউন আদৌ কার্যক কি না, সেই নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷
দীর্ঘ লকডাউনের কারণে সংক্রমণে লাগাম টানা যায়নি৷ উল্টে অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে৷ ইতিমধ্যেই কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ৷ অধিকাংশ চাকরিজীবী হয় কাজ হারিয়েছেন, অথবা বেতনে বড়সড় প্রভাব পড়েছে৷ টানা লকডাউনের কারণে কল-কারখানা বন্ধ থাকায় উৎপাদনে ব্যাহত হয়েছে৷ সরাসরি তার প্রভাব পড়েছে অর্থনীতিতে৷ সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে লকডাউন তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত কার্যকর করেছে কেন্দ্র৷ কিন্তু লকডাউনের পর আনলক পর্বেও নতুন করে সাপ্তাহিক লকডাউন আদৌ কার্যক কি না, তা জানতে মতামত চাইলেন প্রধানমন্ত্রী৷
সপ্তাহে এক-দু’দিনের লকডাউনে করোনাকে টেকানো আদৌ সম্ভব? যদি এর ফলে স্থানীয় অর্থনীতি থেকে জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে সাপ্তাহিক লকডাউন কতটা জরুরি? এব্যাপারে চিন্তাভাবনা করা উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী৷ বুধবার সর্বাধিক সংক্রামিত ৭টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ পাশাপাশি করোনা সংক্রান্ত প্রকল্পে রাজ্যগুলিকে বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলের ৫০% ব্যয় করার অনুমতিও দিয়েছেন তিনি৷ বর্তমানে এই সীমা ছিল ৩৫ শতাংশের কাছাকাছি৷