নয়াদিল্লি: দিনটা ছিল ৮ নভেম্বর, ২০১৬৷ রাত ঠিক আটটায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নোটবন্দির কথা ঘোষণা করেছিলেন৷ এবার ৮ আগস্ট, ২০১৯৷ আজ ঠিক আটটায় আরও একবার জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ বিকাল ৪টা প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেওয়ার কথা থাকলেও তা বালিত করে রাত ৮টায় টিভি ও বেতারে প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন৷ ট্যুইট একথা জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর৷
কোন প্রেক্ষিতে ভূস্বর্গ থেকে ধারা ৩৭০ ও ৩৫-এ বাতিল করা হল, তা নিয়ে নিজের সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। মনে করা হচ্ছে বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের করা প্রশ্নের জবাবও এদিন দিতে পারেন মোদি৷ এমনকি, কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের মাথাব্যাথা নিয়েও মুখ খুলতে পারেন মোদি৷ পাক হুঁশিয়ারির জবাব দিয়ে পাকিস্তানকে ঠাণ্ডা করারও পাল্টা দাওয়াই দিতে পারেন নমো৷ কাশ্মীরের বর্তমান অবস্থা কী ও সরকারের ভবিষ্যত পরিকল্পনাই বা কী তা নিয়েও দেশের মানুষের কাছে বক্তব্য পেশ করতে পারেন তিনি৷
Prime Minister Narendra Modi’s address to the nation will be a television broadcast and will be played out at 8 PM. https://t.co/QtwKLfnOCX
— ANI (@ANI) August 8, 2019
কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা তুলে নেওয়ার পর ভারতের সঙ্গে সমস্ত কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করছে ইসলামাবাদ৷ ভারতের হাইকমিশনকে ভারতে পাঠানোর নির্দেশ পাক প্রশাসনের৷ ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ছিন্ন করার প্রস্তুতি পাক প্রশাসনের৷ আগামী ১৫ আগস্ট কাশ্মীর ইস্যুকে ‘কালাদিবস’ পালনের ডাক পাক সরকারের৷ আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত বিরোধী প্রচারের সিদ্ধান্ত পাক প্রধানমন্ত্রীর৷ নিরাপত্তা পরিষদে পাকিস্তান কাশ্মীর ইস্যুতে তুলবে বলে দেওয়া হয়েছে হুঁশিয়ারি৷ পাকিস্তানের তরফে এহেন হুমকি দিয়ে দেওয়ার পর মোদির ভাষণে ঠিক কী কী প্রসঙ্গ উঠে আসে সেদিকেই নজর এখন গোটা ভারতের৷
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জম্মু ও কাশ্মীর সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিলগুলি সংসদে পাশ হওয়ার বিষয়টিকে স্বাগত জানিয়ে আগেই বলেছিলেন, ‘‘আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্রে এ এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত৷ আমরা সকলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসঙ্গে ১৩০ কোটি ভারতীয়র স্বপ্ন পূরণ করব৷ আমি জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখে আমার ভাই-বোনেদের সাহসিকতা ও ধৈর্য্যের প্রশংসা জানাই৷ বছরের পর বছর ধরে কায়েমি স্বার্থবাদী কিছু গোষ্ঠী, যাঁরা আবেগ ছড়িয়ে ব্ল্যাকমেলে বিশ্বাস করেন, তাঁরা সাধারণ মানুষের ক্ষমতায়নে গুরুত্বই দেয় না। জম্মু ও কাশ্মীর এখন এদের বেড়াজাল থেকে মুক্ত। এক নতুন ভোর ও আরও উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করছে৷ জম্মু, কাশ্মীর ও লাদাখ সম্পর্কিত বিলগুলি অখন্ডতা ও ক্ষমতায়ন সুনিশ্চিত করবে। এই পদক্ষেপগুলি যুবসম্প্রদায়কে মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনবে এবং তাঁদের দক্ষতা ও মেধা তুলে ধরার ক্ষেত্রে অসংখ্য সুযোগ-সুবিধা প্রদান করবে। এমনকি, স্থানীয় পরিকাঠামোরও লক্ষ্যণীয় উন্নতি ঘটবে৷’’