নয়াদিল্লি: ৩৯ তম জিএসটি কাউন্সিলের সিদ্ধন্ত মেনে মোবাইল ফোন এবং এর নির্দিষ্ট কয়েকটি অংশের জিএসটি একলাফে ৬ শতাংশ বাড়ল। বর্তমানে ১২% থেকে বেড়ে হল ১৮%। হাতে ও মেশিনে তৈরী দেশলাই কাঠিতে জিএসটি বাড়িয়ে ১২% করা হয়েছে। বিমানের রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামতির সরঞ্জামের ক্ষেত্রে জিএসটি ১৮% থেকে কমিয়ে ৫% করা হয়েছে। জিএসটি সংক্রান্ত এই সমস্ত পরিবর্তন আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে কার্যকর হবে। তবে এই শেষ নয়, আর্থিক বিপর্যয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করতে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন অনুসারে অন্যান্য জিনিসের জিএসটিতে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলেও শনিবার ৩৯তম জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকের পর জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
তবে মোবাইল ফোনের জিএসটি বাড়লে তার ভয়ঙ্কর প্রভাব পড়তে পারে সংস্থাগুলির ওপর এমনটাই বক্তব্য ইন্ডিয়া সেলুলার এন্ড ইলেকট্রনিক্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান পঙ্কজ মাহিন্দ্রুর। তিনি বলেন, অর্থমন্ত্রী এই সিদ্ধান্ত ডিজিটাল ইন্ডিয়া গড়ার স্বপ্নে বড়সড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। এরফলে এই খাতে খরচ কোনঠাসা হয়ে পড়বে এবং ২০২৫ সালের মধ্যে আমাদের অভ্যন্তরীণ খরচ ৮০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (৬ লাখ কোটি) পৌঁছানো দূরস্ত উল্টে কমপক্ষে ২ লক্ষ কোটি টাকা কমে যাব। বিশেষত যখন দেশ ভয়াবহ আর্থিক সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে এবং একটি জাতি হিসাবে, আমরা পিছিয়ে পড়েছি তখন দেশ পরিচালনার কাজে আরও দক্ষতার পরিচয় দিতে হবে। এপ্রসঙ্গে জিয়াওমি-র ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মন্নু জৈন টুইটারে লিখেছেন ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামে পতনের ফলে এমনিতেই স্মার্টফোন ইন্ড্রাস্ট্রিগুলি লাভের অঙ্কে পিছিয়ে পড়ছে। এরপর এই জিএসটি বেড়ে গেলে বাধ্য হয়ে মোবাইল কোম্পানিগুলিকে দাম বাড়াতে হবে ফলে ইন্ড্রাস্ট্রিগুলির অবস্হা আরও শোচনীয় হয়ে উঠবে। এদিনের বৈঠকে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে ২ কোটি টাকার কম লেনদেনে দেরিতে বার্ষিক আয়কর দাখিল করার ক্ষেত্রে জরিমানা মকুব করা হয়েছে।