মুম্বই: দেশজুড়ে বাড়তে চলেছে প্রয়োজনীয় ওষুধের দাম। কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতিতেই দেশের ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানিগুলি আগামী এপ্রিল মাস থেকে ওষুধের হোলসেল প্রাইস ইনডেক্স (ডব্লিউপিআই)-এ পরিবর্তন আনতে চলেছে। যার ফলে গোটা দেশে অ্যান্টিবায়োটিক্স, অ্যান্টিইনফেক্টিভ, পেইন কিলার ও কার্ডিয়াক-সহ সমস্ত ওষুধের মূল্য চড়বে।
শুক্রবার ওষুধের মূল্য নির্ধারিক সংস্থা ন্যাশনাল ফার্মাসিটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি জানিয়েছে, ডব্লিউপিআই-এ ২০২০ সালে ০.০৫ শতাংশ বৃদ্ধি করার কথা জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। প্রতিবছর নির্দিষ্ট ওষুধের দাম একটি নির্দিষ্ট মাত্রা বৃদ্ধি করার অনুমতি রয়েছে মূল্য নির্ধারণ সংস্থার কাছে। সূত্রে খবর, ডব্লিউপিআই-তে বার্ষিক ২০ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধির পরিকল্পনা চলছে।
ওষুধের মূল্য নির্ধারণ সংস্থার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “সরকারের থেকে যে নির্দিষ্ট মূল্যবৃদ্ধির অনুমতি রয়েছে তা খুবই কম। করোনা আবহে ওষুধ শিল্প মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছিল। ওষুধ তৈরির কাঁচামাল থেকে শুরু করে প্যাকেজিংয়ের খরচ অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। বেশিরভাগ ওষুধ প্রস্তুতকারী কোম্পানি কার্ডিওভাসকুলার, অ্যান্টিবায়োটিক, ডায়াবেটিস, ভিটামিনস ও অ্যান্টিইনফেক্টিভ ইত্যাদি ওষুধ তৈরির অধিকাংশ কাঁচামালের জন্য চিনের উপর নির্ভরশীল। করোনা আবহে সেই কাঁচামালের আমদানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাই তার পরিপূরণর জন্য এই সিদ্ধান্ত।