মারাঠা নাটকের নেপথ্যে কি লোভের রাজনীতি? লুটে খাওয়ার মোহ?

মুম্বই: রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনেকেই আজকাল বলতে শুরু করেছে, There is nothing unfair in love, war and politics. অর্থাৎ, যুদ্ধ, প্রেম এবং রাজনীতিতে অনুচিত কিছু নেই৷ সব চলতে পারে৷ সাহিত্যের ছাত্ররা মনে করে দেখতে পারেন, এই প্রবাদটিতে পরে যা যুক্ত হয়েছে, তা হলো রাজনীতি৷ কয়েকদিন ধরে মহারাষ্ট্রে যা ঘটছে তা ভারতীয় গণতন্ত্রকে লজ্জা প্রদান করেছে৷ কোন

5fe9407b6c57b86a8f4efe351abcdcc6

মারাঠা নাটকের নেপথ্যে কি লোভের রাজনীতি? লুটে খাওয়ার মোহ?

মুম্বই: রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা অনেকেই আজকাল বলতে শুরু করেছে, There is nothing unfair in love, war and politics. অর্থাৎ, যুদ্ধ, প্রেম এবং রাজনীতিতে অনুচিত কিছু নেই৷ সব চলতে পারে৷ সাহিত্যের ছাত্ররা মনে করে দেখতে পারেন, এই প্রবাদটিতে পরে যা যুক্ত হয়েছে, তা হলো রাজনীতি৷

কয়েকদিন ধরে মহারাষ্ট্রে যা ঘটছে তা ভারতীয় গণতন্ত্রকে লজ্জা প্রদান করেছে৷ কোন দেশ কতটা শক্তিশালী তা সেই দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামো দেখে বোঝা যায়৷ কিন্তু, পশ্চিম ভারতের এই রাজ্যে যা ঘটছে তা ভারতকে সারা বিশ্ব মাঝে গণতান্ত্রিক ভাবে দুর্বল করে তুলছে৷ যদিও মোদী সরকারের লক্ষ্য দেশকে সেনা অস্ত্রের মাধ্যমে শক্তিশালী করে তোলা৷ শক্ত গণতান্ত্রিক কাঠামোর মাঝে শক্তিশালী ভারত তারা চায় কিনা তা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে৷

মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনে শেষ হবার পর যা ঘটলো, তাতে পরিষ্কার, রাজনীতিতে কোনও নীতি নেই৷ অনুচিত বলে কিছু নেই৷ কোনও কিছুই অসম্ভব নয়৷  মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন হলো মাঝরাতে৷ বিজেপি এবং অজিত পাওয়ারকে সরকার গড়তে ডাকলেন রাজ্যপাল৷ ভোর হতে না হতেই সব সারা৷

অথচ, এই অজিত পাওয়ারে বিরুধ্যেই নানান অভিযোগ করেছে বিজেপি৷ নতুন সরকারে এসে অজিত পাওয়ারকে জেলে পোরার হুমকিও দিয়েছিল বিজেপি৷  শিবসেনাও আশ্চর্য ভূমিকা পালন করেছে৷ সম্পুর্ন নির্বাচন বিজেপির সঙ্গে লড়াই করে ফলাফলের সময় পুরানো বন্ধুকে ভুলে গিয়েছে৷ অর্থাৎ নির্বাচনের সময় বিজেপি ভালো৷ ফল বেরিয়ে গেলেই খারাপ৷ এত সুবিধাবাদী মানসিকতা৷

মহারাষ্ট্র নির্বাচনে আক্ষরিক অর্থেই ‘কড়া’ মনোভাব দেখিয়েছিলেন বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ৷ দেশের সরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত সুযোগের অপেক্ষায় ছিলেন৷ তার মুখ্যমন্ত্রী (বিদায়ী) দেবেন্দ্র ফরণবিশও৷তৈরি ছিলেন৷

বিরোধী দলনেতা বা রাজ্যপালের সমর্থন ছিল – সেই কারণেই বিজেপি এগিয়ে গিয়েছে৷ গণতন্ত্রের এই শ্লীলতাহানির পিছনে ক্ষমতালোভী শিবসেনা রয়েছে৷ যেমন রয়েছে অজিত পাওয়ার৷ তাঁর দাদা শরৎ পাওয়ার বা কংগ্রেস সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগছে৷ নির্বাচনের আগে তারা জোটের চিন্তা করতে পারেন নি৷ এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের ভরসা৷ গণতন্ত্র, ব্রিফকেস পলিটিক্সের এই যে কুনাট্য যবনিকা পড়েছে সুপ্রিম কোর্টে৷ আদালতের রায় ঘোষণা হতেই রণেভঙ্গ বিজেপির৷ হারার আগেই হেরে ভূত!

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *