শ্রীনগর: ভারতের বায়ুসেনার সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও পাকিস্তানের নীতির খুব একটা বদল হয়েছে বলে মনে হয় না। কারণ, এয়ার স্ট্রাইকের কয়েকঘণ্টা পরেই ভারতীয় সীমান্তে গোলা ও মর্টার বর্ষণ শুরু করেছে পাক সেনাবাহিনী। রাজৌরি সেক্টরে পাকিস্তানের তরফে শেলিং শুরু করেছে।
রাজৌরির পাশাপাশি কৃষ্ণা ঘাঁটি, আখনুরের মতো সীমান্ত বরাবর একাধিক জায়গাতে গোলা বর্ষণ করেছে পাকিস্তান। পালটা জবাব দিচ্ছে ভারতীয় সেনা বাহিনীও। মঙ্গলবার ভোরে এলওসি টপকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালায় বায়ুসেনা। নিয়ন্ত্রণ রেখার ৮০ কিলোমিটার গভীরে ঢুকে একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে ভারতীয় বায়ুসেনার ১২টি মিরাজ-২০০০ যুদ্ধবিমান। নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে বালাকোট, চাকোটি এবং মুজফ্ফরাবাদে মোট ১ হাজার কেজি বোমা ফেলে সন্ত্রাসবাদীদের ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
সূত্রে খবর, মৃত্যু হয়েছে ৩০০-র বেশি জঙ্গি ও জঙ্গি নেতার। এর মধ্যে রয়েছে মৌলানা মাসুদ আজহারের শ্যালক মৌলানা ইউসুফ আজাহার ওরফে উস্তাদ ঘৌরি, জইশ প্রধানের দাদা ইব্রাহিম আজহার সহ ২ জঙ্গি নেতা মুফতি আজহার খান ও মৌলানা আম্মর। এরপরেই ফের সীমান্ত বরাবর ব্যাপক গোলা বর্ষণ শুরু করেছে পাক সেনা। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা থেকে বাসিন্দাদের সরানোর হচ্ছে। কারণে, আগামী কয়েকদিন মর্টার হামলা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।