বেঙ্গালুরু: এ যেন ঠিক কোনও সাহিত্যিকের কল্পনা৷ দু’মলাটে বন্দি অমর প্রেম কাহিনীর মতোই রোমাঞ্চকর তাঁদের ভালোবাসা৷ যে ভালোবাসার সাক্ষী রইল কর্ণাটকের মানুষ৷
দুর্ঘটনায় বেশ কিছু দিন আগে প্রয়াত হন তাঁর স্ত্রী৷ সেই সঙ্গে শেষ হয়ে যায় স্ত্রীর হাত ধরে নতুন গৃহে প্রবেশের স্বপ্নও৷ কিন্তু মন থেকে বিষয়টি কিছুতেই যেন মেনে নিতে পারছিলেন না ওই বৃদ্ধ৷ ঘরের লক্ষীকে ছাড়া গৃহপ্রবেশে মন সায় দিচ্ছিল না গৃহকর্তার৷ তাই ঠিক করলেন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই গৃহপ্রবেশ করবেন তিনি৷ যেমন ভাবা তেমনই কাজ৷ গৃহলকক্ষ্মীকে নিয়েই গৃহপ্রবেশ করলেন কর্ণাটকের ওই বৃদ্ধ৷
আরও পড়ুন- ঘরোয়া উপায়ে করোনা ভ্যাকসিন তৈরি করব কীভাবে? গুগল সার্চে ট্রেন্ডিং টিকার সন্ধান
ভাবছেন তো এ আবার হয় নাকি? তাহলে বিষয়টা খুলে বলা যাক৷ বেশ কয়েক বছর আগেই একটি দুর্ঘটনায় প্রয়াত হন কর্ণাটকের বেল্লারি কোপ্পাল জেলার বাসিন্দা শ্রীনিবাস গুপ্তার স্ত্রী৷ কিন্তু এক মুহূর্তের জন্যও স্ত্রীকে ভুলতে পারেননি তিনি৷ তাই নতুন বাড়ি তৈরি করার পরই গুপ্তা মনস্থির করেন, স্ত্রীর হাত ধরেই গৃহপ্রবেশ করবেন৷ সশরীরে তাঁর উপস্থিতি সম্ভব না হলেও, অন্য উপায়ে তাঁকে জীবিত করে তুলবেন তিনি৷ ফিরিয়ে দেবেন পরিবারের বাকি সদস্যদের কাছেও৷ আর সেই মতোই তিনি তৈরি করে ফেলেন স্ত্রী’র একটি মোমের মূর্তি৷ মূর্তিটি অবিকল যেন তাঁর স্ত্রী৷ গৃহলক্ষীর এই মূর্তি নিয়েই নতুন বাড়িতে গৃহপ্রবেশ করেন গুপ্তা৷
আরও পড়ুন- আরও সঙ্কটজনক প্রণব মুখোপাধ্যায়, ভেন্টিলেটরে রাখা হয়েছে তাঁকে
এই মূর্তিতে একঝলকে দেখলে মনে হবে যেন সত্যি করেই বসে রয়েছেন ওই প্রৌঢ়া৷ মায়ের এই মূর্তি পেয়ে অসম্ভব খুশি তাঁদের সন্তানরাও৷ গৃহপ্রবেশ অনুষ্ঠানের ছবি ও ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়৷ যেখানে দেখা যায় স্ত্রীর মূর্তি পাশে নিয়ে বসে রয়েছেন শ্রীনিবাস গুপ্তা৷ স্ত্রীকে পাশে পেয়ে আনন্দে যেন আত্মহারা তিনি৷ তবে শুধু তিনি নন, আনন্দে বিহ্বল গোটা পরিবার৷ তবে বলে না দিলে, বোঝার উপায় নেই হাসি মুখে বসে থাকা ওই প্রৌঢ়া আসেল নিষ্প্রাণ৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন রীতিমতো ভাইরাল শ্রীনিবাস ও তাঁর স্ত্রীর এই ভালোবাসার কাহিনী৷ তাঁদের ভালোবাসার এই গভীর টানেই অমর হয়ে থাকবে প্রেমের এই আখ্যান৷
আরও পড়ুন- দেশীয় উদ্যোগে অস্ত্র ভাণ্ডার সম্প্রসারণে বড় অনুমোদন কেন্দ্রের