NPR ইস্যুতে পিছু হটল কেন্দ্র, বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

NPR ইস্যুতে পিছু হটল কেন্দ্র, বড় ঘোষণা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় দেশজুড়ে যেভাবে প্রতিরোধ গড়ে উঠছে, তাতে আগামী ২০২১-এ জনগণা বা আদমশুমারির ক্ষেত্রে তার প্রভাবে এড়াতে এক বছর আগে থেকেই প্রস্তুতি শুরু করে দিল কেন্দ্র৷ অবশ্য এই নির্দেশিকা তার আগের পদক্ষেপ এনপিআর৷ এই এনপিআরে কেন্দ্রের নির্দিষ্ট করা বেশ কিছু প্রশ্ন ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক৷ আর সেই বিতর্কে জল ঢেলে বড় ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর৷

ন্যাশনাল পপুলেশন রেজিস্টারে বাবা-মায়ের তথ্য আর দিতে হবে না৷ দেশজুড়ে নাগরিক আইন সহ এনবিআরে বাবা-মায়ের জন্মের তথ্য নিয়ে বিতর্কের মধ্যে এনপিআর নিয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করলেন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী৷  আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর জানিয়েছেন, এনপিআরে থাকা বিকল্প প্রশ্ন নিয়ে সমালোচনা হয়েছে৷ যদিও বাবা-মায়ের জন্ম তারিখ জানা না থাকে, তবে তা দেওয়ার দরকার নেই৷ 

যদিও এর আগে এনপিআরে প্রশ্নের তালিকা তৈরি করেছে কেন্দ্র৷ সেই মর্মে জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি৷ তাতে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এনপিআরে জিজ্ঞাসিত কোনো প্রশ্নের উত্তর যদি গৃহকর্তা ভুল দেয় তবে তাকে এক হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা দিতে হতে পারে৷ তাই জরিমানা থেকে রেহাই পেতে আগে থেকেই হোমওয়ার্ক সেরে নেওয়ার জন্য নির্দেশিকা সহ সেই প্রশ্নগুলির একটি তালিকা প্রকাশ করল কেন্দ্র৷

২০২১ সালের ১ এপ্রিল,  থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত চলবে আদমশুমারির কাজ৷ তাঁর আগেই প্রায় ৩১ টি প্রশ্ন নিয়ে জনগনের বাড়িতে পৌঁছে যাবেন দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মীরা৷  অতীতের আদমশুমারির সময় পরিচিত প্রশ্নগুলির পাশাপাশি বেশ কিছু নতুনত্বও রয়েছে এবারের প্রশ্ন সূচিতে৷ সবমিলিয়ে মূলত যে সংক্রান্ত তথ্যগুলি জিজ্ঞাসা করা হবে সেগুলি হল-

জনগণনা চলাকালীন কর্মকর্তারা মোবাইল নাম্বার, শৌচাগার, টিভি, ইন্টারনেট, বেসরকারী যানবাহন, পানীয় জলের উৎস সহ পরিবারের কর্তার বিষয়ে তথ্য জিজ্ঞাসা করবেন৷ তবে ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার অপরিচিত কাউকে জানাতে আপত্তি থাকতেই পারে জনসাধারণের৷ তাই সে বিষয়টি সরলীকরণ করে কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে যে মোবাইল নম্বরটি কেবলমাত্র আদমশুমারির সঙ্গে সম্পর্কিত তথ্যের অনুসন্ধানের জন্য৷ এর অন্য কোনও উদ্দেশ্যে নেই৷

জাতীয় আবাসিক শংসাপত্র (এনআরসি) বা ন্যাশনাল রেসিডেন্সিয়াল সার্টিফিকেট৷

– রান্নাঘরের জন্য ব্যবহৃত জ্বালানী
– বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম যেমন রেডিও, ট্রানজিস্টর ইত্যাদি
– টেলিভিশন, মোবাইল, ইন্টারনেট সুবিধা আছে কিনা
– আপনার কাছে ল্যাপটপ, কম্পিউটার আছে কি না
– টেলিফোন, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন আছে কি না
– বাইসাইকেল, স্কুটার, মোটরসাইকেল, মোপেড আছে কি না
– কোনো যানবাহন যেমন গাড়ি, জিপ, ভ্যান ইত্যাদি আছে কিনা৷
– ঘরে মূলত কোন কোন আনাজ  ব্যবহার করা হয়?

এইধরণের প্রশ্নের পাশাপাশি থাকছে-
 

– বিল্ডিং নম্বর, পৌর বা স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বা শুমারি নম্বর
– ছাদ, প্রাচীর এবং সিলিংয়ে ব্যবহার করা উপাদান৷
– আপনার বাড়িটি কীসের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে?
– বাড়ির অবস্থা কী, আপনার বাড়ির প্রধানের নাম কী
– বাড়ির সংখ্যা, সাধারণভাবে মোট পারিবারিক সদস্যের সংখ্যা কত?
– গৃহকর্তা এসসি, এসটি বা অন্য কোনও সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত কিনা?
– বাড়ির মালিকানার অবস্থা কী, বাড়িতে কক্ষের সংখ্যা কত?
– ঘরে কতজন বিবাহিত দম্পতি থাকেন, কত লোক বাড়িতে থাকেন
– ঘরের পানীয় জলের মূল উৎস এবং বাড়ির জলের উৎস কী?
– বাড়িতে বিদ্যুতের মূল উৎস, বাড়িতে শৌচাগার রয়েছে কি না, থাকলে কোন ধরণের শৌচাগার রয়েছে?
–  বাড়িতে নিকাশী ব্যবস্থা কেমন, ঘরে ওয়াশরুম রয়েছে কিনা৷ 
– বাড়ির রান্নাঘর থাকুক বা না থাকুক সেখানে  ট্যাপ কলের সংযোগ রয়েছে কিনা৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

8 − 6 =