গুরুদাসপুর: কালো টাকার বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে ‘নোটবন্দির’ মতো কড়া পদক্ষেপ করতে হয়েছিল মোদি সরকারকে। সেই পদক্ষেপের সাফল্য, ব্যর্থতা নিয়ে বিতর্ক থাকতেই পারে। তবে, বিত্তশালীরা সুইস ব্যাঙ্কে টাকা রাখার ‘স্বেচ্ছা ঘোষণা’ করলে বোধহয় মোদি সরকারের এমন কড়া দাওয়াইয়ের মুখে পড়তে হত না দেশবাসীকে!
ঠিক যেমনটি করেছেন পাঞ্জাবের গুরুদাসপুরের কংগ্রেস এমপি সুনীল কুমার জাখর। মনোনয়নের সঙ্গে জমা দেওয়া হলফনামায় তাঁর ‘সাফ ঘোষণা’, ‘আমার স্ত্রীর নামে সুইস ব্যাঙ্কে সাত কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা গচ্ছিত রয়েছে’। টাকার অঙ্কে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিরও হিসেব দাখিল করেছেন সুনীলকুমার। তবে, রাজনৈতিক মহলের কাছে সবচেয়ে বেশি নজর কেড়েছে তাঁর ঘোষিত ওই এক লাইনই। যা ২০১৯ সালের বিগ বাজেটের ভোট প্রক্রিয়ায় নজিরবিহীন সংযোজন বলেই মনে করছেন রাজনীতির বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশ।
কর ফাঁকির ‘স্বর্গ রাজ্য’ বলে পরিচিত সুইজারল্যান্ড। ভারতের বহু বিত্তশালী রথি-মহারথী তাঁদের বেহিসেবি টাকা সেদেশের ব্যাঙ্কগুলিতে গচ্ছিত রেখেছেন বলে অভিযোগ। যা আক্ষরিক অর্থেই কালো টাকা বলে সুবিদিত। সুনীলকুমার এসবের তোয়াক্কা না করেই হলফনামায় ঘোষণা করেছেন, স্ত্রী সিলভিয়া জাখরের নামে সুইস ব্যাঙ্কে সাত কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা জমা রয়েছে। সুইজারল্যান্ডের কোন ব্যাঙ্কে সেই অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি।