নয়াদিল্লি: অক্সিজেনের ঘাটতির সঙ্গে সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে রয়েছে রক্তের সংকটও। দেশের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোর শোচনীয় অবস্থা। এমনিতেই বছরের অন্য সময়ের তুলনায় গরমকালে রক্ত সরবরাহের ক্ষেত্রে একটা ঘাটতি দেখা যায়। এবার সেই ঘাটতি একেবারে চরমে গিয়ে পৌঁছতে চলেছে বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।
কারোনা কোভিড ১৯ ভাইরাসের সংক্রমণের ভয়াল গ্রাসে দেশ ত্রস্ত। সুতরাং এই সময় আগের মতো পাড়ায় পাড়ায় বিপুল পরিমাণে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা সম্ভব নয়। ফলে, মুমূর্ষু রোগীর রক্ত পাওয়ার ক্ষেত্রে সংকট তৈরি হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। আর এই সংকট আরও তীব্র হয়ে উঠবে দ্বিতীয় পর্যায়ের টিকাকরণ। কারণ ভ্যাকসিন নেওয়ার ৪৫ থেকে ৬০ দিনের মাথায় রক্তদান করা যায় না। তার মানে, আগামী দু’ মাস শুধুমাত্র রক্তের অভাবে দেশের একটা বড় অংশের মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে৷
এই আশঙ্কার কথা মাথা রেখেই এবার ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট, রিলিফ এবং রিহ্যাবিলিটেশন মন্ত্রী বিজয় ওয়াদেহিওয়ার একটি অনুরোধ করেছেন দেশ আপামর জনগণের কাছে। তাঁর অনুরোধ যে সবাই যেন দেশের এই আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে আগে রক্তদান করে তার পরেই একমাত্র ভ্যাকসিন গ্রহণ করেন৷ ওয়াদেহিওয়ার এই প্রসঙ্গে বলেন, এখন দেশের হাসপাতালগুলোয় শুধুমাত্র যে করোনায় আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসা চলচে তা নয়, অন্য রোগীর চিকিৎসা চলছে পাশাপাশি।
ফলে কখন কোন রোগীর রক্ত প্রয়োজন হবে, তা বলা খুব মুশকিল৷ তাই স্বাভাবিক নিয়মমাফিক এখন অন্য সময়ের চেয়ে রক্তের চাহিদা অনেক বেশি হবে। সেই কারণেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর অনুরোধ, যেহেতু একবার ভ্যাকসিন নেওয়া হয়ে গেলে ৪৫ থেকে ৬০ দিন পর্যন্ত রক্ত দেওয়া সম্ভব নয়, তাই সবাই যেন আগে থেকেই রক্তদান করেন। একমাত্র তাহলেই দেশের ব্লাড ব্যাঙ্কগুলোয় রক্তের জোগান এবং চাহিদার মধ্যে কিছুটা হলেও ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।