নয়াদিল্লি: নির্ভয়া মামলার অন্যতম আসামি বিনয় শর্মার প্রাণভিক্ষার আবেদন খারিজের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে যে আবেদন করা হয়েছিল, তা খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। বিনয় শর্মা আবেদনে বলা হয়েছিল, রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ তাঁর প্রাণভিক্ষার আবেদন প্রত্যাখ্যান করার সময় কারাগারে নির্যাতনে আসামি যে মানসিক স্থিতাবস্থা হারিয়েছে, তা বিবেচনা করেনি।
সুপ্রিম কোর্ট এদিন সরাসরি আসামির আবেদন অস্বীকার করেছে। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়েছে, বিনয় শর্মার মেডিক্যাল রিপোর্টে রয়েছে, সে মানসিক ও শারীরিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ। বিনয় শর্মার আবেদনে বলা হয়েছে, সে যে মানসিকভাবে অসুস্থ তা রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদনে বলা হয়নি। এদিন আদালতে সরকার পক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, ১২ ফেব্রুয়ারি বিনয় শর্মার একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, বিনয় শর্মা মানসিকভাবে সম্পূর্ণ সুস্থ।
ফাঁসির হাত থেকে বাঁচতে বিনয় শর্মার ছিল এটাই শেষ আইনি লড়াই। কাজেই ফাঁসির হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার তার আর কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে। অন্য দুই আসামি মুকেশ সিং ও অক্ষয় কুমারও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছিল। কিন্তু সেখানেও কোনও সুরাহা হয়নি। অন্য দিকে নিম্ন আদালতের তরফে জানানো হয়েছে, পরবর্তী আদেশ না আসা পর্যন্ত ফাঁসির আদেশ স্থগিত থাকবে।
অন্যদিকে কেন্দ্র ও তিহার জেল কর্তৃপক্ষ দোষীদের নামে মৃত্যু পরোয়ানা জারির আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। সেই মামলার শুনানির সময় দিল্লির গণধর্ষণে অভিযুক্ত পবন গুপ্তার বাবা দাবি করেন, তার ছেলের হয়ে মামলা লড়তে চাইছে না কোনও আইনজীবী। এরপরই মামলার শুনানিন পিছিয়ে দেয় আদালত। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার ফের এই মামলার শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন বিচারক।অ্যাডিশনাল সেশন জজ ধরমেন্দ্র রানা জানান, “দোষীদেরও মৃত্যুর আগে পর্যন্ত আইনি সহায়তা পাওয়ার অধিকার রয়েছে।” এরপরই পবনের জন্য আইনজীবীর নিযুক্ত করার নির্দেশ দেয় আদালত। এমনকী তিহার কর্তৃপক্ষকে ‘এমপ্যানেলড’ আইনজীবীদের নামের তালিকা চায় আদালত।