নয়াদিল্লি: প্রয়াত হলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮১ বছর৷ আজ সকালে অসুস্থ অবস্থায় তিনি দিল্লির হাসপাতালে ভর্তি হন৷ সেখানেই তাঁর জীবনাবসান হয়৷ দীর্ঘদিন ধরেই তিনি হৃদরোগে ভুগছিলেন৷
এদিন শীলাদেবীর প্রয়ানে দুঃখ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ লেখেন, ‘‘শীলা দীক্ষিত-জির প্রয়ানে আমি গভীরভাবে দুঃখিত। আমি যখন সাংসদ হয়েছিলাম তখন উনি সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। উনি সবসময় আমার সাথে ভাল সম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন। আমরা ওনার অভাব অনুভব করবো৷’’
বর্তমানে তিনি দিল্লির কংগ্রেসের চেয়ারপার্সন হিসাবে কাজ করছিলেন৷ ১৯৯৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদে৷ কেরলের রাজ্যপালও ছিলেন তিনি৷ শীলা দীক্ষিতকে হারিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হন কেজরিওয়াল৷
Former Delhi Chief Minister & Congress leader Sheila Dikshit, passes away in Delhi at the age of 81 years. (file pic) pic.twitter.com/8rqv8qfnAQ
— ANI (@ANI) July 20, 2019
২০১০ সালের দিল্লি কমনওয়েলথ গেমসে দুর্নীতির একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতকে উত্তর-পূর্ব দিল্লির লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করে কংগ্রেস৷ দিল্লিতে আপের সঙ্গে কংগ্রেস শীলাদেবীই রুখে দিয়েছিলেন বলেও কংগ্রেস সূত্রে খবর৷ গান্ধী পরিবারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক৷
১৯৯৮ সালে প্রথম দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হন শীলা দীক্ষিত৷ টানা তিন বার মুখ্যমন্ত্রী হয়ে তিনি রেকর্ড গড়েন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি বেশ জনপ্রিয় ছিলেন৷ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীরও বিশেষ আস্থাভাজন ছিলেন শীলা৷ ইন্দিরা তাঁকে রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে পাঠিয়েছিলেন৷
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে একাধিক বিতর্কেও জড়ান৷ জেসিকা লাল হত্যায় প্রধান অভিযুক্ত মনু শর্মাকে ২০০৯ সালে প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল৷ তখন ব্যাপক সমালোচনা হয়েছিল তাঁর বিরুদ্ধে৷ ২০১০ সালে কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল অভিযোগ করেন, দিল্লিতে কমনওয়েলথ গেমের সময় বিদেশ থেকে যে রাস্তার আলো আমদানি করা হয়েছিল, সেক্ষেত্রে বড় ধরনের দুর্নীতি হয়েছে৷