নয়াদিল্লি: পৃথিবীর উচ্চতম ও দুর্গম সিয়াচেন হিমবাহ অঞ্চলে পরিষেবা কপ্টারের সমস্যায় ভারতীয় বায়ুসেনা। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যেই সতর্ক করা হয়েছে কেন্দ্রকেও। সাধারণত ওই দুর্গম অঞ্চলে সেনা মোতায়েন, উদ্ধার, জরুরী পরিষেবা পাঠানো প্রভৃতিক্ষেত্রে চিতা ও চিতল হেলিকপ্টার ব্যবহৃত হত। বেশি ব্যবহৃত হয় চিতা।
১৯৭২ সাল থেকে চিতা কপ্টার তৈরি শুরু করে ভারত। কিন্তু রোটর ব্লেড ফ্রান্স থেকে আমদানি করা হত। রোটর ব্লেডের বিশেষ ও গঠনগত বৈশিষ্ট্যের কারণেই এগুলি ২০ হাজার ফুটেরও বেশি উচ্চতায় উড়তে স্বক্ষম। ২০১২ সাল থেকে ওই ব্লেড প্রস্তুত করা বন্ধ করে দেয় সংস্থাটি। ব্লেডের অভাবে নতুন করে আর ৮৫ সিরিজের চিতা হেলিকপ্টার তৈরি করতে পারছে না হ্যাল। ফলে হ্যালকে আরও ১০টি চিতল কপ্টারের অর্ডার দেওয়া হয় ২০১৫ সালে।
গত বছর চিতার ১২টি নতুন ব্লেড তৈরি করে হ্যাল। কিন্তু, অতি উচ্চতায় সেগুলিতে মাত্রা অতিরিক্ত কম্পন ধরা পড়ছে। এখন বায়ুসেনার হাতে মাত্র কয়েকটি ব্লেড অবশিষ্ট পড়ে রয়েছে। এগুলো ২০১২ সালের আগে অর্ডার দেওয়া ছিল। ফলে এগুলি শেষ হয়ে গেলে চিতা হেলিকপ্টারের বহরের সংখ্যা কমে আসবে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। তাই অবিলম্বে বহরের সংখ্যা বাড়াতে আরও নতুন হেলিকপ্টার প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে বায়ুসেনা।