৪ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে FIR করা যাবে না! কেন্দ্রকে ৪ সপ্তাহ সময় হাইকোর্টের

৪ বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে FIR করা যাবে না! কেন্দ্রকে ৪ সপ্তাহ সময় হাইকোর্টের

নয়াদিল্লি: পাত্তা পেল না দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশ৷ উস্কানিমূলক মন্তব্য করার দায়ে বিজেপির চার নেতার নামে দিল্লি পুলিশকে এফআইআর দায় করার নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি হাইকোর্ট৷ কিন্তু, নির্দেশ জারি হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেও এখনও বিজেপি নেতা কপিল মিশ্র, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, বিজেপি সাংসদ প্রদেশ বর্মা, বিজেপি বিধায়ক অভয় বর্মার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে পারেনি দিল্লি৷ উল্টে মামলার শুনানিতে আদালতে দাঁড়িয়ে পুলিশের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এখনই ৪ নেতার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা যাবে না! আত তাতেই চরম ক্ষুব্ধ আদালত৷

আজ দুই দফায় বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের দিল্লি হাইকোর্টে শুনানি শুরু করেন বিচারপতি ডি এন প্যাটেল ও বিচারপতি সি হর শঙ্করের বেঞ্চে৷ এদিনের এই মামলার শুনানিতে পুলিশের প্রতিনিধিত্ব করতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা-সহ ৩ জনকে নিয়োগ করেন উপরাজ্যপাল অনিল বাইজল৷ এদিন উস্কানিমূলক মন্তব্য মামলায় বিজেপির চার নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের জন্য বেশ কিছু সময় আলাদতের কাছে চেয়ে নেয় কেন্দ্র৷ তার যুক্তি হিসাবে আদালতে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা জানান, তাড়াহুড়ো করে এখনই এফআইআর দায়ের করা যাবে না৷ এজন্য আদালতে বাড়তি সময়ের আর্জি জানান সলিসিটর জেনারেল৷ সেই আর্জি মেনে বিজেপির চার নেতার বিরুদ্ধে কেন্দ্রকে ৪ সপ্তাহ সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের৷ মামলার পরবর্তী শুানানি আগামী ১৩ এপ্রিল৷

বুধবার দিল্লি হাইকোর্ট সংঘর্ষ মামলার শুনানিতে বিচারপতি এ মুরলীধর বিজেপির চার নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের নির্দেশ দেন৷ মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অধীনে থাকা পুলিশের যোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ আর তারপরই মধ্য রাতে বদলির নির্দেশ দিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা৷ বুধবার দিল্লি পুলিশকে তুলোধনা করে দিল্লি হাইকোর্ট৷ স্পষ্ট জানিয়ে দেয় আদালত, চুরাশির মতো আর কোনও দাঙ্গা চাই না৷ দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতিরা বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য দিল্লি পুলিশকে কাঠগড়ায় তোলেন৷ দিল্লির সংঘর্ষে বিচার বিভাগীয় তদন্তের আবেদন জমা পড়েছিল দিল্লির হাইকোর্টে৷ সেখানেই দিল্লি পুলিশকে পক্ষপাতিত্ব করার জন্য তিরস্কার করেন বিচারকরা৷ বিচারপতি এস মুরলীধর রাও ও তালওয়ান্ত সিংয়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলাটি শোনেন৷ ওদিন দিল্লি পুলিশের হয়ে সওয়াল করেন তুষার মেহেতা৷ তাঁকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া ভিডিওকে হাতিয়ায় করে আদালত জানায়, দিল্লি পুলিশ কমিশনারকে পরামর্শ দিন, যে তিনজন বিজেপি নেতা উসকানি মূলক মন্তব্য করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে যেন এফআইআর দায়ের করা হয়৷ রাজেশ দেওকে তিরস্কার করে দিল্লি হাইকোর্ট জানায়, অফিসে অনেক টিভি আছে। বিষয়টিকে লঘু না করে এইসব উস্কানি মূলক মন্তব্যগুলো খুঁটিয়ে দেখা হোক। কপিল মিশ্রা, অনুরাগ ঠাকুর ও প্রবেশ বর্মার ভিডিও গুলো খুঁটিয়ে দেখে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক৷ এরপরেই আদালতে কপিল মিশ্রার ভিডিও চালানো হয়৷ প্রসঙ্গ তোলা হয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর ও বিজেপি সাংসদ প্রবেশ বর্মার বিতর্কিত মন্তব্য৷ আদালতের তরফে তিন জন বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে দিল্লি পুলিশকে এফআইআর করার নির্দেশ দেন৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *