নয়াদিল্লি: বিদেশের চিড়িয়াখানায় বাঘের শরীরে নোভেল করোনা ভাইরাস সংক্রমনের প্রেক্ষিতে বন্য পশুদের সুরক্ষা নিয়েও নতুন করে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতদিন মনে করা হচ্ছিল নভেল করোনাভাইরাস বন্যপ্রাণীদের আশঙ্কার কোন কারণ নেই। কিন্তু সাম্প্রতিক ঘটনা সেই ভুল ভেঙে দিয়েছে। যেভাবে নিউইয়র্ক এর চিড়িয়াখানা বাঘের শরীরে কোভিড ১৯ ভাইরাসের অস্তিত্বে ধরা পড়েছে তাতে অনেক হিসাব ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে।পশু থেকে মানুষে এবং মানুষ থেকে পশুতে পারস্পরিক সংক্রমণের আশঙ্কা ও সামনে এসেছে। এমত অবস্থায়কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশমন্ত্রক বন্য পশুদের সুরক্ষার জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে।
মন্ত্রকের তরফ এর জারি করা এক নির্দেশিকায় রাজ্যগুলিকে বিভিন্ন অভয়ারণ্য এবং ব্যাঘ্র সংরক্ষণ কেন্দ্র গুলোর সুরক্ষা ব্যবস্থাকে মজবুত করার কথা বলা হয়েছে।এখানকার পশুরা যাতে মানুষের সংস্পর্শে না আসে সেজন্য নিরাপত্তা আরও পড়া করতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।কোন বন্যপ্রাণী অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে লোকালয় নামিয়ে সে যাতে মনের মধ্যেই তার চিকিৎসা করা হয় তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। বনের প্রাণীদের মধ্যে সংক্রমণ ঠেকাতে এবং সম্ভাব্য সংক্রমণের চিকিৎসা করতে প্রত্যেক রাজ্যকে একটি করে টাস্কফোর্স তৈরি করতে বলা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ পশু চিকিৎসকদের নিয়ে গড়া ওই টাস্কফোর্স প্রয়োজনে যাতে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারে সরকারকে তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় চিড়িয়াখানা পর্ষদের তরফে সোমবার একটিঅ্যাডভাইজারি জারি করে জানানো হয়েছে, কোনও পশু যদি অসুস্থ হয়, তাহলে করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা নির্দিষ্ট পশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। অ্যাডভাইজারিতে বলা হয়েছে, 'দেশের সমস্ত চিড়িয়াখানাকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কোনও অস্বাভাবিক আচরণ করছে বা কোনও উপসর্গ দেখা দিচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখার জন্য সিসিটিভির মাধ্যমে পশুদের উপর ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালানো হোক। যাঁরা পশুদের দেখভাল করেন, তাঁদের পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইক্যুপমেন্টের (পিপিই) মতো সুরক্ষাবরণী ছাড়া যেন তাদের ধারেকাছে ঘেঁষতে দেওয়া না হয়। অসুস্থ পশুদের আলাদা করে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। খাবার দেওয়ার সময়েও যতটা কম সম্ভব তত কম সংস্পর্শে আসতে হবে।'