নয়াদিল্লি: করোনাভাইরাসের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন সহ অ্যান্টি-এইচআইভি কমবিনেশন ড্রাগ লোপিনাভি ও রিটোনাভি বিশেষ কার্যকরী বলে দাবি করেছেন চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞদের একাংশ। সেইমতো ভারতেও করোনা চিকিৎসায় হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর)। এদিকে দেশজুড়ে নোভেল করোনায় আক্রান্ত এবং মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলায় এই ধরণের ওষুধের যথেচ্ছ ও অবাধ বিক্রি নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ নিল কেন্দ্র।
পদক্ষেপ হিসেবে এই ওষুধগুলি বিক্রি এবং বণ্টনের উপরে বিধিনিষেধ আরোপ করল কেন্দ্রীয় সরকার। বিশেষত, ম্যালেরিয়া প্রতিষেধক ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের অপব্যবহার বন্ধে ইতোমধ্যে বড় পদক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে এক বিজ্ঞপ্তিতে জারি এই ওষুধকে 'সিডিউল এইচ১' হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ফলে রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া এই ওষুধ বিক্রি হবে না। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের রফতানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার।
এর আগে গত বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (এনপিপিএ) প্রতিটি ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলির জন্য একটি নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল যে জরুরী ভিত্তিতে অন্তত ২.২ কোটি লোপিনাভির ও রিটোনাভির যেন পাওয়া যায় এমন প্রস্তুতি রাখতে হবে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা গুলিকে।
“Do not rush to buy medicines for #COVID19.
There is no specific cure for COVID.
Drugs available for restricted use, are to be used only by designated hospitals, under supervision of treating doctor & expressed consent of patient.#SwasthaBharat pic.twitter.com/lcfYNtZfs9
— Ministry of Health (@MoHFW_INDIA) March 27, 2020
“Do not rush to buy medicines for #COVID19.
There is no specific cure for COVID.
Drugs available for restricted use, are to be used only by designated hospitals, under supervision of treating doctor & expressed consent of patient.#SwasthaBharat pic.twitter.com/lcfYNtZfs9
— Ministry of Health (@MoHFW_INDIA) March 27, 2020
অন্যদিকে করোনার হাত থেকে বাঁচতে এই ধরনের ওষুধ নিজেরাই কিনে খেতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনছে সাধারণ মানুষ। ইতিমধ্যেই এমন বেশ কিছু ঘটনাও ঘটেছে। কেন্দ্রের এই নির্দেশিকা জারির ফলে সেই প্রবণতাও কমানো যাবে। এদিকে ভারতে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮৪৩। এর মধ্যে ৬৪০ জনের বর্তমানে চিকিৎসা চলছে এবং ৬৬ জন সম্পূর্ণ সুস্থ্। এপর্যন্ত দেশে করোনার বলি ১৭। শুক্রবার পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের ঘটনায় কেরালাকে পেছনে ফেলে শীর্ষে পৌঁছেছে মহারাষ্ট্র ।