কলকাতা: যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৬৯ সালের ৩ মার্চ৷ রবিবার ৫০ বছরে পা দেবে রাজধানী এক্সপ্রেস৷ অর্থাৎ প্রৌর হওয়ার পথে আরও একধাপ এগোলো রাজধানী৷ প্রথম দিনেই ট্রেনটি ১৭ ঘণ্টা ২০ মিনিটে ১৪৪৫ কিলোমিটার পথ ছুটেছিল৷ তাই ৫০ বছরের জন্মদিনকে স্মরনীয় করে রাখতে রবিবার হাওড়া থেকে রাজধানী ছুটে চলার আগে এক বিশেষ অনুষ্ঠান হওয়ার কথা৷ পাশাপাশি জন্মদিনে রাজধানীর যাত্রীদের বিশেষ মেনু পরিবেশনের সঙ্গে থাকছে গোলাপ, চকলেট ও বিশেষ পোস্টাল স্ট্যাম্প দেওয়া গ্রিটিংস কার্ডও৷
যাত্রী-স্বাচ্ছন্দ্য ও গতির নিরিখে দেশের সেরা ট্রেন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছিল রাজধানী। সবুজ পতাকা নেড়ে চালক জি এল টচার-কে ট্রেন ছাড়ার সঙ্কেত দিয়েছিলেন গার্ড এস ও লেভি। ৫০বছর আগের ওই ট্রেনের মাধ্যমে ভারতীয় রেলে গতিতে বিপ্লব এসেছিল৷ তখন যেখানে রেলে সর্বোচ্চ গতি ৬০ মাইল বা ৯৬ কিমি ছিল সেখানে রাজধানীতে সর্বোচ্চ গতি হল ১২০ কিমি৷ শুরুতেই মাত্র ৯টি কোচ ছিল রাজধানী এক্সপ্রেসের৷ তার মধ্যে পাঁচটি ছিল এসি চেয়ারকার এবং একটি প্রথম শ্রেণির এসি কামরা৷ তাছাড়া ছিল একটি ডাইনিং কাম লাউঞ্জ কার এবং দু’টি জেনারেটর কার। সে-দিন ডিজেল ইঞ্জিনে চলা রাজধানী এক্সপ্রেসে আজ চেয়ারকার উঠে গিয়ে অবশ্য সবই উন্নত শ্রেণির বাতানুকূল স্লিপার কামরা। সারা দেশে এখন ২৫ জোড়া রাজধানী এক্সপ্রেস চলে। পথ চলার শুরুতে রাজধানী এক্সপ্রেসে যাত্রীদের খাদ্যতালিকায় বিশেষ নজর রাখা হত। প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ থাকত কাস্টার্ড ক্যারামেল। এছাড়া সব যাত্রীদের জন্যই থাকত সুপ। রাতের খাবারে ফিশফ্রাই এবং রসগোল্লা। ইন্ডিয়ান রেলওয়ে কেটারিং অ্যান্ড টুরিজম কর্পোরেশনের (আইআরসিটিসি) পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার দেবাশিস চন্দ্র জানান রাজধানীর ৫০তম জন্মদিনেও সেই মেনু ফিরিয়ে আনছে আইআরসিটিসি।