নয়াদিল্লি: শেষ দফার ভোটের আগেই ‘গৃহযুদ্ধ’ উত্তাল খোদ নির্বাচন কমিশন৷ আধিকারিকদের লাড়াইয়ে ফের মুখ পড়ুল দেশের গণতান্ত্রিক পরিকাঠো৷ কিন্তু, হঠাৎ কী নিয়ে এমন বিতর্ক? বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এবার খোদ নরেন্দ্র মোদি!
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনের কাজে অসন্তোষ প্রকাশ করে নিজের দপ্তরের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করে বিস্ফোরক চিঠি পাঠিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার অশোক লাভাসা৷ সরাসরি কমিশনকে বয়কটও করেছেন তিনি৷ জানিয়ে দিয়েছেন, কমিশনের বৈঠকেও যাবেন না তিনি৷ কিন্তু, কারণটা কী?
কমিশনকে চিঠি দিয়ে, বয়ান রেকর্ড না করেই প্রধামনন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কেন বারংবার ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে? এই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছেন এই নির্বাচনী আধিকারিক৷ কোন যুক্তিতে নরেন্দ্র মোদি ক্লিন চিচ পেল, কেন তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হল না, জানতে চেয়েছেন লাভাস৷ কমিশনে তিন সদস্যের কমিটিতে ছিলেন সুনীল আরোরা, অশোক লাভাসা ও সুশীল চন্দ্র৷ কিন্তু, গুরুত্বপূর্ণ পদে বসে এহেন বিদ্রোহ দেশের রাজনীতিতে জন্ম দিয়েছে নয়া ইস্যু৷
সাত দফা লোকসভা নির্বাচনে ছয় বার নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে৷ প্রতিবারই তাঁকে মুক্তহস্তে ছাড় দেওয়া হয়েছে মোদিকে৷ এতেই চটেছেন কমিশনার অশোক লাভাসা৷ এক সর্বভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশ, গত ১৬ মে অশোক লাভাসা রীতিমতো চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, তাঁর লিখিত বয়ান না রেকর্ড করলে কোনও বৈঠকেই তিনি আগ্রহী নন। প্রয়োজনে আইনি পথে যাবেন তিনি। শুধু তাই নয় তাঁর নিজের মতকে তিনি সংখ্যালঘু মত বলেও দাবি করছেন!
चुनाव आयोग बना मोदीजी के हाथों की कठपुतली !
‘Election Commission’ has become ‘Election Omission’
Nation has to count only 5 more days to overthrow the 5 years of Mal-Governance of Modi Government!
Our Statement on Modi Govt damaging & diminishing the functioning of EC:- pic.twitter.com/WOEE7QvWIs
— Randeep Singh Surjewala (@rssurjewala) May 18, 2019
কমিশনের ঘরে এই আগুনে ঘিরে ঢালতে খুব বেশি দেরি করেনি কংগ্রেস৷ কংগ্রেসের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা জানান, ‘‘নির্বাচন কমিশন এখন নির্বাচনী বিভ্রান্তি!’’