হাত ছেড়েছেন বুয়া-বাবুয়া, তাই একলা চলার ডাক কংগ্রেসের

লখনউ : আগেই হাত ছেড়েছেন বুয়া-বাবুয়া। বারবার বিভিন্ন ভাবে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে হারাতে তাঁদের কোনোভাবেই কংগ্রেসকে দরকার নেই। এরপর কংগ্রেসও বসে থাকেনি। এদিন তড়িঘড়ি লখনউতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হয় ৮০ টি আসনেই তারা লড়বে। তবে বিজেপিকে হারাতে কোনো ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি এগিয়ে এলে, তাদের জন্য দরজা খোলা রাখছে কংগ্রেস। সেইসঙ্গে ঠিক হয়েছে

হাত ছেড়েছেন বুয়া-বাবুয়া, তাই একলা চলার ডাক কংগ্রেসের

লখনউ : আগেই হাত ছেড়েছেন বুয়া-বাবুয়া। বারবার বিভিন্ন ভাবে তাঁরা বুঝিয়ে দিয়েছেন উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে হারাতে তাঁদের কোনোভাবেই কংগ্রেসকে দরকার নেই। এরপর কংগ্রেসও বসে থাকেনি। এদিন তড়িঘড়ি লখনউতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করে সিদ্ধান্ত হয় ৮০ টি আসনেই তারা লড়বে। তবে বিজেপিকে হারাতে কোনো ধর্মনিরপেক্ষ শক্তি এগিয়ে এলে, তাদের জন্য দরজা খোলা রাখছে কংগ্রেস। সেইসঙ্গে ঠিক হয়েছে এই রাজ্যে মোট ১৩টি জনসভা করবেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক গুলাম নবি আজাদ, উত্তর প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধান রাজ বব্বর ও অন্যান্য সিনিয়র কংগ্রেস নেতারা লখনউতে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। এরপর গুলাম নবি আজাদ সাংবাদিকদের জানান, কংগ্রেস উত্তর প্রদেশে ৮০ টি আসনেই লড়বে। তবে বিজেপিকে হারাতে কোনো ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির সঙ্গে তাঁরা মেলাতে রাজি আছেন বলেও জানান আজাদ।

তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ২০০৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যে ২১ টি আসন পেয়েছিল, এবার সেই সংখ্যাটা দ্বিগুণ হবে। ২০১৪ সালে কংগ্রেস মাত্র ২টি আসন পেয়েছিল। (অখিলেশের সঙ্গে জোট করেও।) আগেই কংগ্রেসকে ব্রাত্য করে আসন রফা করে ফেলেছন বুয়া-বাবুয়া। তারপরে কংগ্রেসের এই একলা চলার নীতি। তারা সর্বশক্তি দিয়ে উত্তর প্রদেশে লড়াইয়ে নামতে তৈরি। এই বার্তাই এদিন দিলেন আজাদ।

আগেই মায়াবতী বলেছিলেন, আমেঠি ও রায় বরেলিতে তাঁরা প্রার্থী দেবেন না। এখন কংগ্রেস সব আসনে প্রর্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর তাঁরা কী করেন, সেটাই দেখার। কংগ্রেস নির্বাচন উত্তর সমঝোতার রাস্তাও খোলা রাখছে। মোট ৮০ আসনের মধ্যে এসপি ও বিএসপি ৩৪ টি করে আসনে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই রাজ্যে মোট ১৩টি সভা করবেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল। হাপুর, মোরাদাবাদ, শাহরানপুরে প্রথম দফার সভা হবে। তারপর পরবর্তী কর্মসূচি আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করা হবে। দুবাই থেকে রাহুল আগেই সাংবাদিকদের বলেছিলেন, উত্তর প্রদেশের মানুষের জন্য কংগ্রেস অনেক করেছে। ফলে সেই মতো সিদ্ধান্ত খুব শিগগিরই নেওয়া হবে। অর্থাৎ কংগ্রেস যে একলা চলতে পারে, সেই ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছিলেন রাহুলই। এবার সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজাদ জানিয়ে দিলেন উত্তর প্রদেশে কংগ্রেস সবকটি আসনেই লড়বে। তাঁদের আরো দাবি, মুখোমুখি লড়াই হবে কংগ্রেস ও বিজেপি-র। উত্তর প্রদেশে মায়া-অখিলেশকে যে অবহেলা করা যায় না তা আগেই গোরক্ষপুর ও ফুলপুরের মতো লোকসভার উপনির্বাচনে প্রমাণ হয়েছে। তাই নির্বাচন উত্তর জোটের রাস্তা কিন্তু বন্ধ করছে না কংগ্রেসও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

3 × 2 =