অযোধ্যা বিতর্কের অবসান, পড়ুন ১৫২৮-২০১৯ দীর্ঘ ইতিহাস

নয়াদিল্লি: ১৩৪ বছরের বিদাব মিটিয়ে অবশেষে রায় ঘোষণা দেশের শীর্ষ আদালতে৷ মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল কি না, তা প্রমাণিত না হলেও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের৷ অযোধ্যার বিতর্ক ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ একই সঙ্গে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দেওয়া নির্দেশ দিয়েছে৷ অযোধ্যার জমিতে

অযোধ্যা বিতর্কের অবসান, পড়ুন ১৫২৮-২০১৯ দীর্ঘ ইতিহাস

নয়াদিল্লি: ১৩৪ বছরের বিদাব মিটিয়ে অবশেষে রায় ঘোষণা দেশের শীর্ষ আদালতে৷ মন্দির ভেঙে মসজিদ নির্মাণ হয়েছিল কি না, তা প্রমাণিত না হলেও সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের দাবি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের৷ অযোধ্যার বিতর্ক ২.৭৭ একর জমি রামলালাকে আইনি স্বীকৃতি দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ একই সঙ্গে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে পাঁচ একর জমি দেওয়া নির্দেশ দিয়েছে৷ অযোধ্যার জমিতে মন্দির নির্মাণের বিষয়ে কেন্দ্র সরকারকে ৩ মাসের মধ্যে ট্রাস্ট তৈরি করে নীতি নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷ কিন্তু, এই অযোধ্য নিয়ে কেন এত বিতর্ক?

ইতিহাস বলছে, সেই ১৫২৮ সাল শুরু হওয়া বিবাদ ২০১৯-এ হটকেট৷ ইতিহাস বলছে, ১৫২৮ সালে অযোধ্যায় বাবরি মসজিদ নির্মাণ করা হয়৷ হিন্দুত্বপন্থী সংগঠনের দাবি, মন্দির ধ্বংস করে সেখানে মসজিদ নির্মাণ করা হয়৷ এরপর ১৮৫৩ সালে বন্দির বনাম মসজিদ ঘিরে সরকারি খাতায় প্রথম সংঘর্ষের অভিযোগ নথিভুক্ত হয়৷ ১৮৫৯ সালে ব্রিটিশ আমালে হিন্দু ও মুসলিমদের প্রাথনার জন্য পৃথক পৃথক দুটি স্থান নির্দেশ করে দেওয়া হয়৷

স্বাধীনতা দু’বছর পর ১৯৪৯ সালে রামের মূর্তি মসজিদের মধ্যে স্থাপন করা ঘিরে সংঘর্ষ তৈরি হয়৷ প্রথম আদালত গড়ায় অযোধ্যা মামলা৷ এর কয়েক বছর পর ১৯৮৪ সালে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দাবি উঠতে থাকে৷ ১৮৮৭ সালে জেলা আদালত মসজিদের দরজা খুলে দেয়৷ একই সঙ্গে বিতর্কিত জমিতে হিন্দুদের আরাধনার অনুমতি দেয়৷ এরপর ১৯৮৯ সালে গঠিত হয় বাবরি মসজিদ অ্যাকশন কমিটি৷

এর পরের বছর ১৯৯০ সালে লালকৃষ্ণ আডবাণী রাম মন্দির নির্মাণের সমর্থনে দেশে রথযাত্রা করেন৷ বিজেপির সেই রথযাত্রা আজও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে৷ বিজেপির রথযাত্রার পর ভারতীয় গণতন্ত্রে নেমে আসে কলঙ্গিত অধ্যায়৷ উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের হাতে ১৯৯২ সালে ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করা হয়৷ হিংসার আগুন ছড়িয়ে পড়ে গোটা দেশেজুড়ি৷ কয়েক লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন৷ হিংসার আগুন থামিয়ে গড়ায় মামলায়৷

২০০২ এপ্রিলে এলাহাবাদ হাইকোর্ট অযোধ্যার জমি মামলা ওঠে৷ ২০১০ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায়দানে বিতর্কিত জমি ৩ ভাগে ভাগ করে রামলাল্লা, নির্মোহী আখড়া ও সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়৷ ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের হয় মামলা৷

২০১১ সালে এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশের নির্দশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট৷ এরপর চলতে থাকে লম্বা শুনানি৷ চলতি বছর ৬ অগস্ট প্রতিদিনের ভিত্তিতে টানা ৪০ দিন এই মামলার শুনানি শুরু হয়৷ ১৬ অক্টোবর শুনানি শেষ করে আজ রায় ঘোষণা করে দেশের শীর্ষ আদালত৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

sixteen − 14 =