নয়াদিল্লি: দীর্ঘ লকডাউনের পর শুরু হয়েছে আনলক ওয়ান৷ ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে অর্থনীতি৷ ২১ জুনের মধ্যে দেশে বেকারত্বের হার পৌঁছেছে লকডাউনের আগের পর্যায়, ৮.৫ শতাংশে৷ এমনটাই জানাচ্ছে সেন্টার ফর মনিটরং ইন্ডিয়া ইকোনমি (সিএমআইই)৷
লকডাউনের ধাক্কায় গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে একলাফে অনেকটাই বেড়ে গিয়েছিল বেকারত্বের হার৷ এপ্রিল মাসে বেকারত্বের হার ৮.৫ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছিল ২৩.৫ শতাংশে৷ ৩ মে তা পৌঁছে যায় ২৭.১ শতাংশে৷ তবে গ্রামীন অর্থনীতি সচল হতেই পরিস্থিত ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে৷ সিএমআইই-এর সমীক্ষা বলছে, আগামী মাসগুলিতে গ্রামীণ অর্থনীতিতে আরও বড়সড় পরিবর্তন আসতে চলেছে৷
করোনা প্যান্ডেমিকের জেরে বিপুল সংখ্যক মানুষ কাজ হারিয়েছিলেন৷ তবে কর্মজগতের সাম্প্রতিক তথ্য সরকারকে অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছে৷ সিএমআইই-র সমীক্ষ অনুযায়ী, জুন মাসের প্রথম তিন সপ্তাহে উল্লখজনকভাবে কমতে শুরু করে বেকারত্বের হার৷ ১৭.৫ শতাংশ থেকে বেকারত্বের হার কমে ১১.৬ শতাংশ এবং বর্তমানে তা ৮.৫ শতাংশে পৌঁছেছে৷ সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের হাত ধরে গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থান বেড়েছে বহুলাংশে৷ সিএমআইই-র সিইও মহেশ ব্যাসের কথায়, ‘‘কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অনেকটাই লাভবান হয়েছে গ্রামাঞ্চলের মানুষ৷ আগামী মাসগুলিতে আরও বেশি সক্রিয় হবে গ্রামীণ অর্থনীতি৷’’ ২১ জুনের মধ্যে শুধুমাত্র গ্রামীণ ভারতে বেকারত্বের হার কমে ৭.২৬ শতাংশে নেমে গিয়েছে৷ যা ২২ মার্চ, অর্থাৎ লকডাউন শুরু হওয়ার আগের পর্যায়ের থেকেও কম৷ ২২ মার্চ পর্যন্ত গ্রামীণ ভারতে বেকারত্বের হার ছিল ৮.৩ শতাংশ৷
ভ্যাস জানান, ‘‘লকডাউন শিথিল হওয়াতে বেকারত্বের চাপ অনেকটাই কমেছে৷ বিশেষত গ্রামাঞ্চলে মহত্মা গান্ধী ন্যাশনাল রুরাল এমপ্লয়মেন্ট গ্যারান্টি প্রকল্পকে ব্যাপকভাবে কাজে লাগানো হয়েছে৷ এই প্রকল্পের অধীনে কাজ পেয়েছেন অসংখ্য মানুষ৷ সেই সঙ্গে এ বছর বেড়েছে খারিফ শস্যের বপনও৷’’ তিনি মনে করছেন, অক্টোবর মাস পর্যন্ত গ্রামীণ বেকারত্ব অনেকটাই কম থাকবে৷ বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামঞ্চলেও চাহিদা বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করা হচ্ছে৷ ছয় রাজ্যে কর্মসংস্থানের উদ্দেশে গরিব কল্যাণ যোজনায় ৫০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার৷