রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্বাস্তু সংজ্ঞা এখন মোদী সরকারের বড় হাতিয়ার

নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সমর্থনে যাঁরা কথা বলছেন, তাঁদের জন্য রাষ্ট্র সঙ্ঘের উদ্বাস্তু সংজ্ঞা, সব থেকে বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছে৷ কারণ, ধর্মীয়৷সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে গেলে তাঁরা উদ্বাস্তু৷ তাঁদের উদ্বাস্তু হিসাবে সেদেশে স্থান দেওয়াটাই আইনসঙ্গত৷ উদ্বাস্তুর সংজ্ঞায়, ‘‘যে ব্যক্তি জাতি, ধর্ম, নাগরিকত্ব, সামাজিক বা ধর্মীয় সংস্থার জন্য অত্যাচারিত হচ্ছেন বা

রাষ্ট্রসঙ্ঘের উদ্বাস্তু সংজ্ঞা এখন মোদী সরকারের বড় হাতিয়ার

নয়াদিল্লি: নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলের সমর্থনে যাঁরা কথা বলছেন, তাঁদের জন্য রাষ্ট্র সঙ্ঘের উদ্বাস্তু সংজ্ঞা, সব থেকে বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছে৷

কারণ, ধর্মীয়৷সংখ্যালঘুরা ধর্মীয় কারণে অত্যাচারিত হয়ে দেশ ছেড়ে অন্য দেশে গেলে তাঁরা উদ্বাস্তু৷ তাঁদের উদ্বাস্তু হিসাবে সেদেশে স্থান দেওয়াটাই আইনসঙ্গত৷ উদ্বাস্তুর সংজ্ঞায়, ‘‘যে ব্যক্তি জাতি, ধর্ম, নাগরিকত্ব, সামাজিক বা ধর্মীয় সংস্থার জন্য অত্যাচারিত হচ্ছেন বা হওয়ার আশঙ্কায় দেশ ছেড়েছেন তাঁরাই উদ্বাস্তু৷”

বিজেপি এবং এনডিএ সরকারের যুক্তি, সেক্ষেত্রে মনে রাখা প্রয়োজন, অর্থনৈতিক কারণে এক দেশ থেকে অন্য দেশে চলে আসা কোনও ব্যাক্তিকে রাষ্ট্রসংঘের সংজ্ঞায় উদ্বাস্তু গণ্য করা হন না৷ তিনি আর্থিকভাবে কেবলমাত্র গরীব বলেই অন্য দেশে গিয়ে স্থায়ী, পাকাপাকি ভাবে বসবাস করার এবং সেই দেশে রোজগার করার এবং সেই দেশের সরকারের জনকল্যাণমূলক যোজনার অংশীদার হতে পারবেন, এমন অধিকার জন্মায় না৷

এই প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গেলে দুটি আইনত কথা বলতেই হয়৷ ভারতের পাসপোর্ট আইন ১৯২০ এবং বিদেশি আইন ১৯৪৬৷এই দুই আইনের বলেই অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের গ্রেফতার করা হয়৷ কিন্তু, বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা সেদেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘু অর্থাৎ হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন, খ্রিস্টান এবং শিখ দের ভারতে থাকার ব্যাপারে আগেই ছাড়পত্র দিয়ে রেখেছে মোদী সরকার৷ কারণ এই দুই আইন মোদী সরকার সংশোধিত করেছে৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *