নয়াদিল্লি: পশ্চমবারের জন্য পিছিয়ে গেল নির্ভয়া কাণ্ডের দোষীদের ফাঁসি৷ আগামীকাল সকালে নির্ভয়াকাণ্ডের ধর্ষকদের ফাঁসির সাজা হচ্ছে না৷ পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যাবে না৷ ফাঁসির নির্দেশের উপর আরও একবার স্থগিতাদেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট৷ অন্যদিকে, ২০১২-র দিল্লি গণধর্ষণ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রার্থী পবন গুপ্তার আর্জি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত৷ এরপর ফাঁসি থেকে বাঁচতে প্রাণ ভিক্ষার আবেদন জানানো হয় অভিযুক্তদের তরফে৷ পরে সেই আর্জি খারিজ করে দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ৷
২০১২-র দিল্লি গণধর্ষণ মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রার্থী পবন গুপ্তার আর্জি খারিজ করে দিল শীর্ষ আদালত৷ সোমবার প্রধান বিচারপতি এসএ বোবড়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ পবনের আবেদব খারিজ করে দেয়৷ মৃত্যুদণ্ডের সাজা লঘু করে যাবজ্জীবন দেওয়ার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল পবন৷ এদিন তার সেই আবেদন খারিজ করে দিল মহামান্য আদালত৷ শীর্ষ আদালতের এই রায়ের পর কালই কি তবে ফাঁসি হচ্ছে নির্ভয়াকাণ্ডের অন্যতম অপরাধী পাবনের?
শীর্ষ আদালতে আর্জি খারিজ হলেও রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানানোর পথ এখনও খোলা রয়েছো পবনের সামনে৷ গত ১৭ ফেব্রুয়ারি নতুন করে মৃত্যু পরোয়না জারি করেছিল দিল্লি আদালত৷ ৩ মার্চ ভোর ৬টায় তাদের ফাঁসির আদেশ দেন বিচারপতি৷ এই নিয়ে তিনবার নির্ভয়াকাণ্ডে চার অপরাধীকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা হল৷ গত ৩১ জানুয়ারি তিহার জেলে বন্দি দিল্লি ধর্ষণকাণ্ডের চার মৃত্যুদণ্ডপ্রার্থী মুকেশ কুমার সিং, পবন গুপ্তা, বিনয় কুমার শর্মা এবং অক্ষয় কুমারের ফাঁসির উপর স্থগিতাদেশ জারি করে পাতিয়ালা হাউস কোর্ট৷
২০১২ সালে ১৬ ডিসেম্বর দক্ষিণ দিল্লির রাস্তায় চলন্ত বাসে নির্মমভাবে ২৩ বছরের এক তরুণীকে গণধর্ষণ করা করা৷ এক অসম যুদ্ধের পর ২৯ ডিসেম্বর মৃত্যুর কাছে হার মানেন নির্ভয়া৷ এই ঘটনায় ছয় অপরাধীর মধ্যে একজন ছিল নাবালক৷ নির্দিষ্ট সময় পর তাকে মুক্তি দেওয়া হয়৷ অপর এক অপরাধী জেলের ভিতরে আত্মহত্যা করে৷