করোনা রুখে ঘুরে দাঁড়াবে ভারত? ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ আগামী সপ্তাহ

করোনা রুখে ঘুরে দাঁড়াবে ভারত? ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ আগামী সপ্তাহ

নয়াদিল্লি:  করোনাকে হারিয়ে কবে ঘুরে দাঁড়াবে ভারত? এই প্রশ্নের উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে আরও একটি সপ্তাহ৷ ১৬ এপ্রিলের মধ্যে খানিকটা হলেও পরিষ্কার হয়ে যাবে ভারতের আগামী দিনের ছবি৷ প্রশাসনের উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যে তথ্য উঠে এসেছে, তাতে দেখা গিয়েছে এই মুহূর্তে ভারত এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ ভারতকে এই কঠিন পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিয়েছে দিল্লির নিজামুদ্দিনের মসজিদে তবলিঘি জামাতের সমাবেশ৷

ভারতের সর্বোচ্চ সরকারি তথ্য কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, সাম্প্রতিক করোনা সংক্রমণের হার বিশ্লেষণ করলে আশা করা যাচ্ছে আগামী ৯ মে থেকে ভারতে শেষের পথে পৌঁছে যাবে করোনা৷ যদিও সাসপেকটিবল-ইনফেকসাস-রিকভার্ড (এসআইআর) মডেলের উপর ভিত্তি করে এই অনুমান করা হয়েছে৷ এই মডেলে তবলিঘি জামাতের পর্বটি এখনও পুরোপুরি বিবেচনা করা হয়নি৷ তবলিঘি জামাতের সদস্য ও তাঁদের সংস্পর্শে আসা মানুষ কোথায় কোথায় ছড়িয়ে পড়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷

ফলে আক্রান্তের পরিসংখ্যান কোন পর্যায়ে পৌঁছবে সেটাও অস্পষ্ট৷ অভ্যন্তরীণ তথ্য এবং চিন সহ বিভিন্ন আক্রান্ত দেশগুলি থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে আপাতত এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে ভারত৷ এই তথ্যটি করোনা মোকাবিলার সঙ্গে জড়িত কমিটির সঙ্গেও ভাগ করা হয়েছে৷ আগামী দিনে লকডাইন কতটা শিথীল করা হবে, এই জাতীয় তথ্যের উপর ভিত্তি করে সেই সিদ্ধান্ত নেওয়া কিন্তু অনেকটাই কঠিন হবে৷

ভারতের কাছে তবলিঘি জামাত পর্ব ছিল কল্পনাতীত৷ এই নিজামুদ্দিনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পর সমস্ত চিত্রটাই বদলে গিয়েছে৷ তা সত্ত্বেও বলা যায়, ভারত আপাতত সঠিক পথেই এগোচ্ছে৷ এপ্রিলের মাঝামাঝি সংক্রমণের গতি কম হলে ২১ দিনের লকডাউন পর্বও ধীরে ধীরে উঠতে শুরু করবে৷ ডাটা মডেলিং অনুযায়ী, ৮ এপ্রিলের আগে পর্যন্ত বলা হয়েছিল দিল্লিতে দিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছোঁবে৷ কিন্তু তবলিঘি জামাতের সমাবেশ বদলে দিয়েছে যাবতীয় সমীকরণ৷

দিল্লির পাশাপাশি ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হয়েছে মহারাষ্ট্র৷ তবে ‘সমাজিক দূরত্ব’ বজায় থাকলে ১০ এপ্রিলের পর পরিস্থিতির উন্নতি হতে পারে৷ পাশাপাশি চলতে মাসের শেষেই ঘুরে দাঁড়াতে পারে তামিলনাড়ু, রাজস্থান এবং কর্ণাটক৷ গোটা বিশ্বের ডাটা বিশ্লেষণ করে এমপাওয়ার্ড কমিটি মনে করছে, তাপমাত্রা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কমবে করোনার প্রাদুর্ভাব৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *