করোনার জেরে সংসদের বন্ধ প্রশ্নোত্তর পর্ব, প্রবল ক্ষোভ বিরোধীমহলে

করোনার জেরে সংসদের বন্ধ প্রশ্নোত্তর পর্ব, প্রবল ক্ষোভ বিরোধীমহলে

নয়াদিল্লি: এবার সংসদের বাদল অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্ব বন্ধ রাখা নিয়ে সরকারকে একহাত নিলেন বিরোধীরা। অতিমারীকে সামনে রেখে সরকার পক্ষ বিরোধীদের প্রশ্ন করার অদিকার খর্ব করছে এবং তা এড়িয়ে যাচ্ছে বলে দাবি বিরোধীপক্ষের। ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে বাদল অধিবেশন। করোনা আবহের জেরে এবার সংসদের বাদল অধিবেশন পরিচালনা প্রক্রিয়াও থাকবে অন্যধরণের। মেনে চলা হবে সামাজিক দূরত্ববিধি। এছাড়াও একইসঙ্গে চালানো হবে না রাজ্যসভা ও লোকসভার অধিবেশন বলে সূত্রের খবর।

এবারের বাদল অধিবেশনে শনি ও রবিবার খোলা খোলা থাকবে সংসদ। বিরোধীদের তরফে সরকারের এ সমস্ত প্রস্তাব মেনে নেওয়া হলেও গোল বাধে প্রশ্নোত্তর পর্ব নিয়ে। সংসদের অধিবেশনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ এই প্রশ্নোত্তর পর্ব। এই প্রবের মাধ্যমে কোনও বিল বা প্রস্তাব বা সরকারের কোনও সিদ্ধান্ত নিয়ে নিজেদের জিজ্ঞাসাগুলি তুলে ধরেন বিরোধীরা। ফলে আমজনতার কাছেও তা স্পষ্ট হওয়ার পথ তৈরি হয়। পাশাপাশি ওইসব বিষয়ে তারা সমালোচনাও করে থাকেন সরকারকে। ফলে এই পর্বটি সরকারের কাছে চূড়ান্ত অস্বস্তিকর হলেও গণতন্ত্রের ক্ষেত্রে এটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। এই হাতিয়ার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তুমুল ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি সরকার এই আবহে এভাবে প্রশ্নোত্তর পর্ব বন্ধ রাখতে পারে না।

প্রবল সমালোচনার মুখে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয় শুধুমাত্র লিখিত প্রশ্নের জবাব দেওয়া হবে এবারের বাদল অধিবেশনে। সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েন। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ হেনে তিনি বলেন, এটা সংসদ, গুজরাটের জিমখানা নয়। তিনি আরো বলেন সরকার যেখানে মন্ত্রীদের মাধ্যমে সংসদের বিরোধীদের প্রশ্নের জবাব দিতে বাধ্য সেখানে শুধুমাত্র লিখিত প্রশ্নেরই উত্তর দেয়। তবে কেন এরকম করা হচ্ছে? তৃণমূল সাংসদের দাবি অতিমারীকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রীয় সরকার গণতন্ত্রের টুঁটি চেপে ধরতে চাইছে। সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেন কংগ্রেস নেতা তথা সাংসদ শশী থারুর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *