নয়াদিল্লি: সীমান্ত সমস্যা নিয়ে সামরিক ও কূটনৈতিক পর্যায়ে একাধিক বৈঠকের পরও জট কাটেনি৷ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় চড়ছে উত্তেজনার পারদ৷ কোর কমান্ডার স্তরে বৈঠকের পর সাময়িকভাবে লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরালেও, সম্পূর্ণরূপে মানা হয়নি ডিসএনগেজমেন্ট (সেনা পিছু হটা) চুক্তি৷ উল্টে এই মুহূর্তে এলএসি-তে ৪০ হাজার চিনা সেনা উপস্থিত রয়েছে বলে সূত্রের খবর৷
আরও পড়ুন- বিয়ের ১৫ মাসের মধ্যেই আত্মঘাতী হয়েছিলেন এই আইপিএস অফিসার
জানা গিয়েছে, সীমান্তে ডিসএনগেজমেন্টের কোনও চেষ্টাই করেছে না চিন৷ উল্টে সীমান্তে ক্রমাগত সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে৷ ইতিমধ্যেই ৪০ হাজার সেনা মোতায়েন করা হয়ে গিয়েছে৷ আনা হয়েছে একাধিক সমরাস্ত্র৷ তবে বলা হচ্ছে ভারত-চিন যুদ্ধ বাধলেও লাল ফৌজের একটা বড় অংশ এখানে উপস্থিত থাকবে না৷ জিনজিয়াং ও তিব্বতে বিদ্রোহ প্রতিহত করার দায়িত্ব পালনের জন্য সংরক্ষিত রাখা হবে তাদের৷ শক্তির দিক থেকেও ভারতের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির বায়ুসেনা৷
আরও পড়ুন- করোনা কেড়েছে স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়ির প্রাণ, শূন্য পরিবারে একলা ফিরলেন করোনা-জয়ী স্ত্রী!
ফোর্থ জেনারেশন যুদ্ধবিমানগুলি তুলনা করলে দেখা যাবে চিনের জে-১০ ফাইটার প্রযুক্তিগত দিক থেকে অনেকটাই ভারতের মিরাজ ২০০০ এর সমান৷ এবং এর চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী ভারতের এসইউ-৩০ এমকেআই সুখোই ফাইটার জেট৷ চেনের জে-১১ এবং এসইউ-২৭ কেও পিছনে ফেলেছে ভারতের সুখোই৷ চিনের হাতে মোট ১০১টি ফোর্থ জেনারেশনের ফাইটার জেট রয়েছে৷ যার মধ্যে একটা বড় অংশ সংরক্ষিত আছে রাশিয়ান প্রতিরক্ষার জন্য৷ অন্যদিকে, ভারতের হাতে রয়েছে ১২২টি যুদ্ধ বিমান৷
আরও পড়ুন- হারানো চাকরি ফিরে পেতে সংস্থার ডেটা হ্যাক, শ্রীঘরে ইঞ্জিনিয়ার যুবক
তিব্বত এবং জিনজিয়াংয়ের উঁচু এলাকায় চিনা বিমান ঘাঁটির জটিল ভৌগলিক অবস্থান এবং প্রতিকূল আবহাওয়া চিনের কাছে একটা বড় সমস্যা৷ এই অঞ্চলে জ্বালানি পরিবহণ করা বেশ কঠিন৷ চিনা বায়ুসেনা যদি তাদের এয়ারস্ট্রাইক বাড়াতে চায়, তাহলে আরও বেশি করে জ্বালানির প্রয়োজন হবে৷ সেক্ষেত্রে সমস্যায় পড়তে হবে তাদের৷
আরও পড়ুন- করোনা আক্রান্ত প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, কোয়ারেন্টিন থেকে রাজ্য চালাবেন শিবরাজ
২০১৭ সালের রেকর্ড অনুযায়ী চিনের হাতে মাত্র ১৫টি ট্যাঙ্কার এয়ারক্রাফ্ট আছে৷ অর্থাৎ হাতেগোনা বাহিনী এর থেকে উপকৃত হবে৷ অপর দিকে ভারতীয় বায়ুসেনা ঘাঁটিগুলির সামনে এই ধরেনর কোনও ভৌগলিক চ্যালেঞ্জ নেই৷ চিনের চেয়ে ভারতের এয়ার পজিশন অনেক বেশি শক্তিশালী৷ বায়ুসেনা ঘাঁটির সংখ্যাও অনেক বেশি৷ আগামী সপ্তাহেই ভারতের হাতে এসে যাবে রাফাল বিমান৷ আসছে ঘাতক মিসাইল হ্যামার৷ ফলে পাল্লায় অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে ভারত৷