নয়াদিল্লি: আত্মনির্ভর ভারত অভিযান প্রকল্পে কৃষকদের জন্য কল্পতরু কেন্দ্র৷ এদিন কৃষকদের জন্য ১ লক্ষ কোটি টাকার আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন৷ এখানেই শেষ নয়৷ কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত করতে ১৯৫৫ সালের এসেনশিয়াল কমোডিটিজ অ্যাক্ট বা অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আইন সংশোধন করা হবে বলে জানালেন অর্থমন্ত্রী৷
এই আইন সংশোধনের ফলে এ বার থেকে খাদ্যশস্য, ভোজ্য তেল, তৈলবীজ, পেঁয়াজ এবং আলুর মজুতের ঊর্ধ্বসীমা আর থাকবে না৷ এর ফলে কৃষকদের আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি হবে৷ গরিব চাষীদের বাধ্য হয়ে যাতে কম দামে ফসল বিক্রি করতে না করতে হয়, তার জন্যই এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷ একমাত্র জরুরি বা ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি ছাড়া ঊর্ধ্বসীমা কার্যকর করা হবে না৷ একই ভাবে কোনও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রেও শস্য মজুতে কোনও নিয়ন্ত্রণ থাকবে না।
অন্যদিকে, আন্তঃরাজ্য বাণিজ্যের অসুবিধা দূর করতেও আইন প্রণয়ন করতে চলেছে কেন্দ্র৷ কৃষকরা তাঁদের পণ্য ই-ট্রেডও করতে পারবেন৷ এই আইন লাগু হলে, শুধুমাত্র লাইসেন্সধারী এজেন্টদের কাছেই ফসল বিক্রি করতে হবে, এই সীমাবদ্ধতা আর থাকবে না৷ কৃষকরা যেখানে খুশি তাঁদের ফসল বিক্রি করতে পারবেন৷ ফসল কাটার সময় থেকেই কৃষকরা একটা অনিশ্চয়তায় ভোগেন৷ এবার আইনি পদক্ষেপ করে উৎপাদন থেকে ফসল বিক্রি করা পর্যন্ত কৃষকদের নিশ্চয়তা দেবে সরকার৷ কৃষকদের যাতে কেউ শোষণ করতে না পারে, এই আইনে সেই ব্যবস্থা করা হবে৷
চাষিরা যাতে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প, রফতানিকরণ, এগ্রিগেটর, রিটেল বিক্রেতার সঙ্গে চুক্তি চাষ করতে পারেন সে বিষয়েও একটি আইনি পরিকাঠামো তৈরি করে দেবে সরকার। এই সংস্কারের মধ্যে আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে কৃষকরা৷