নয়াদিল্লি: সম্প্রতি বেশ কয়েকটি শ্রম আইন স্থগিতের জন্য অধ্যাদেশ জারি করেছে বিজেপি শাসিত তিন রাজ্য উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত এবং মধ্যপ্রদেশ৷ তাদের যুক্তি এতে বিনিয়োগ বাড়বে৷ কোনও রাজ্য তিন বছর, আবার কোনও রাজ্য ১২০০ দিনের জন্য আইন স্থগিতের জন্য কেন্দ্রের সম্মতি চেয়েছে। এই অবস্থায় শ্রম আইন সংস্কার করতে পারে কেন্দ্র৷ তবে এর অর্থ কখনই শ্রম আইন বিলোপ নয়৷
সেইসঙ্গে বর্তমান পরিস্থিতিতে কী ভাবে আরও বেশি করে লগ্নি টানা যায়, সেই বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিকাঠানো তৈরি করতে আলোচনা শুরু করেছেন শীর্ষস্থানীয় নীতি নির্ধারকরা৷ বিনিয়োগকারীরা আরও বেশি করে যাতে ভারতে তাঁদের কারখানা গড়ে তুলতে পারেন, সেই চেষ্টাই চালাচ্ছে কেন্দ্র৷
এক উচ্চপদস্থ সরকারি আধিকারিক বলেন, একাধিক বহুজাতিক সংস্থা চিন থেকে ব্যবসা গোটাতে চাইছে৷ সেক্ষেত্রে তাদের পয়লা পছন্দ হবে ভারত৷ তারা যাতে ভারতে তাদের ব্যবসা নিয়ে আসতে পারে, সে জন্য কেন্দ্রে একটি নমনয়ী আইন থাকা প্রয়োজন৷ যাতে তারা যে কোনও রাজ্যে সহজেই নিজেদের কারখানা গড়ে তুলতে পারেন৷
এদিকে, বেশ কয়েকটি শ্রম আইন ইতিমধ্যেই স্থগিত করেছে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাত, মধ্যপ্রদেশের মতো রাজ্য। দুশ্চিন্তা মাথাচাড়া দিয়েছে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের। বাম অথবা কংগ্রেস সমর্থিত শ্রমিক সংগঠনই শুধু নয়, রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ অনুমোদিত শ্রমিক সংগঠন ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘও এই ইস্যুতে গর্জে উঠেছে। তবে কেন্দ্র সম্ভবত এই ধরনের সংশোধনীতে সম্মতি দেবে না বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান রাজীব কুমার। সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির ব্যবসায়ীরাও এই সিদ্ধান্তে হতাশ৷ কারণ শ্রম আইন শিথিল করা হলে, তাদের কোনও লাভ হবে না বলেই দাবি৷
এদিকে, ২০ লক্ষ কোটি টাকার কোভিড-১৯ আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা হওয়ার পরই শ্রমমন্ত্রী স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন৷ আরও বেশি বিনিয়োগ টানতে আর কী কী করা যায়, সেই বিষয়ে কথাবার্তা বলছেন তিনি৷