বিবাহ ও মাতৃত্বের বয়স নির্ধারণে বড় পদক্ষের কেন্দ্রের, মিলবে সুফল?

কেন্দ্রীয় সরকার মঙ্গলবার বলেছে যে বিবাহ ও মাতৃত্বের বয়সের সম্পর্কের বিষয়টি যাচাই করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে।

 

নয়াদিল্লি: কেন্দ্রীয় সরকার মঙ্গলবার বলেছে যে বিবাহ ও মাতৃত্বের বয়সের সম্পর্কের বিষয়টি যাচাই করার জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। 

আরও পড়ুন: ডেরেক-দোলা যা করেছে ঠিক করেছে, সাসপেন্ডেড সাংসদের সমর্থনে ফের ধর্নায় তৃণমূল

গর্ভাবস্থায়, জন্মের পরে এবং তারপরের অবস্থা নজরে রাখাবে এই টাস্ক ফোর্স। গর্ভবতী মহিলার স্বাস্থ্য, চিকিৎসার বন্দোবস্ত। মা এবং নবজাতক / শিশু / শিশুর পুষ্টির অবস্থানের সঙ্গে মাতৃত্বের সম্পর্কের সাথে সম্পর্কিত সম্পর্ক পরীক্ষা করার জন্য এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছে। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ প্যারামিটার যেমন শিশুমৃত্যু হার (আইএমআর), মাতৃমৃত্যু হার (এমএমআর), মোট উর্বরতা হার (টিএফআর), জন্মের সময় যৌন অনুপাত (এসআরবি), শিশু লিঙ্গ অনুপাত (সিএসআর) এগুলিও নজরে রাখবে তারা। পাশাপাশি স্বাস্থ্য এবং পুষ্টি সম্পর্কিত যে কোনও প্রাসঙ্গিক বিষয়ও পর্যবেক্ষণ করা হবে।

আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রী মুখ নেই! মোদীর হাওয়ায় একুশের নির্বাচন জিততে পারবে বিজেপি?

কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি সম্প্রতি এগুলি জানিয়েছেন। রাজ্যসভার সাংসদ সুশীল কুমার গুপ্ত প্রশ্ন তোলেন বর্তমানে মহিলাদের বিবাহের বয়স ১৮ বছর। এই নিয়ে সরকার কোনও পুনর্বিবেচনা করছে কিনা। স্মৃতি ইরানি সেই প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানান। তিনি এও বলেন, টাস্কফোর্সের রিপোর্ট সরকারের পক্ষ থেকে এখনও পাওয়া যায়নি।

মেয়েদের বিয়ের ন্যূনতম বয়স কত হওয়া উচিত, এই বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরেই আলোচনা চলছিল৷ মাতৃত্বের বয়স, মাতৃত্বকালীন মৃত্যুর হার, পুষ্টি বৃদ্ধি এবং এই সংক্রান্ত ইস্যুগুলি খতিয়ে দেখতে গত ৪ জুন সাংসদ জয়া জেটলি এবং নীতি আয়োগের সদস্য বিনোদ পালের নেতৃত্বে একটি ১০ সদস্যের টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়৷ ২০২০-২১ বাজেট অধিবেশনেই এই টাস্ক ফোর্স গঠনের কথা জানিয়েছিলেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন৷ ৩১ জুলাই পর্যন্ত তাঁদের রিপোর্ট তৈরির সময় দেওয়া হয়৷ সেই সময় প্রাক্তন এনসিডব্লিউ চেয়ারপার্সন এবং বিজেপি সদস্য ললিতা কুমারমঙ্গলম বলেন, ‘‘শুধু বিয়ের বয়স বাড়ালেই হবে না৷ মেয়েদের উপর সমাজের যে চাপ রয়েছে, তার হাত থেকেও তাঁদের রক্ষা করতে হবে৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘বর্তমানে আমাদের দেশে বিয়ের ন্যূততম বয়স ১৮৷ কিন্তু দেশের প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে এমনকী কিছু শহরে আজও মেয়েরা ঋতুমতী হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ১২, ১৩, ১৪ বছরে তাঁদের বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়৷ এখনও আমাদের সমাজ মনে করে, মেয়েরা যদি পড়াশোনাই না শেখে, তাঁদের যদি কাজে পাঠানো না হয়, তাহলে পরিবারের কাছে সে ‘বোঝা’৷ তাই তাঁর মতে, ‘‘শুধু বিয়ের ন্যূনতম বয়স বাড়ানোই যথেষ্ট নয়৷ এর সঙ্গে প্রয়োজন সঠিক তথ্য, শিক্ষা এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা৷ মেয়েদের স্কুলে পাঠানো হচ্ছে কিনা, সেটা সবার আগে নিশ্চিত হতে হবে৷ অর্থের অভাবে এবং বিনামূল্যে পরিশ্রমের জন্য সবার আগে মেয়েদেরই স্কুল থেরে ছাড়ানো হয়৷ মেয়েদের যাতে জোড় করে বিয়ে দেওয়া না হয়, তার যথাযথ বন্দোবস্ত করতে হবে কমিটিকে৷’’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *