নয়াদিল্লি: টিকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ায় মৃত্যুর কথা মেনে নিল কেন্দ্রীয় সরকার৷ দেশজুড়ে গত জানুয়ারিতে করোনা টিকা প্রদান শুরু হওয়ার পর থেকে স্বাভাবিক ভাবেই এটাই প্রথম মৃত্যু বলে নিশ্চিত করেছে কেন্দ্র। গত মার্চে ৬৮ বছরের এক বৃদ্ধের মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি জানতে পারে, টিকা নেওয়ার পরে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে অ্যানাফাইলাক্সিসে। যা এক ধরনের মারাত্মক অ্যালার্জি। এটি মুহূর্তের মধ্যে শরীরকে প্রভাবিত করে৷ এতে মৃত্যুও ঘটতে পারে।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ৩১ মার্চের মধ্যে টিকা নেওয়া তিনজনের শরীরে অ্যানাফাইলাক্সিস দেখা গিয়েছে। এর মধ্যে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়৷ পরে ৩১ জন গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঘটনা খতিয়ে দেখার পরই ওই ব্যক্তির মৃত্যুর বিষয়টি কমিটির কাছে পরিষ্কার হয়েছে। জানা গিয়েছে, গত ৮ মার্চ তিনি টিকা নেন। এরপরই অ্যালার্জিজনিত কারণে তিনি মারা যান৷ কমিটির চেয়ারম্যান ডা. এনকে আরোরা জানিয়েছেন, ‘দেশে টিকাকরণ শুরু হওয়ার পর এই প্রথম আমরা একজনের মৃত্যুর খবর জানতে পেরেছি, যিনি টিকা গ্রহণের পরে অ্যানাফাইল্যাক্সিস নামক অ্যালার্জিতে মারা গিয়েছেন। কিন্তু বৃহত্তর পরিধিতে দেখলে এত টিকাকরণের মধ্যে এটি একটি বিরল ঘটনা। ৩১টি মৃত্যুর কেস নিয়ে আমরা তদন্ত করেছি এবং তার মধ্যে মাত্র একজনের মৃত্যুর কারণ হিসেবে এটি পাওয়া গিয়েছে। আরও দু’জনের শরীরে অ্যানাফাইলাক্সিসের প্রভাব থাকলেও, তার সঙ্গে টিকার কোনও যোগ নেই। অ্যানাফাইলাক্সিস হলে চিকিৎসা করে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সুস্থ করে তোলা সম্ভব৷’ ওই ব্যক্তির মৃত্যুর রিপোর্টে বলা হয়েছে, করোনা টিকা নিলে, তা থেকে অ্যালার্জি বা অ্যানাফাইল্যাক্সিসের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
প্রসঙ্গত, টিকা নেওয়ার পরে আরও তিনজনের শরীরে অ্যানাফাইলাক্সিস দেখা যাওয়ায়, সবারই মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখেছে কেন্দ্রীয় কমিটি। ৬৮ বছরের বৃদ্ধ ছাড়াও ২১ বছরের একটি মেয়ে ও ২২ বছরের একজন ছেলের শরীরে অ্যানাফাইলাক্সিসের প্রভাব পাওয়া গিয়েছিল। তাঁরা গত ১৯ ও ১৬ জানুয়ারি করোনার ভ্যাকসিন নেন। যদিও তাঁরা দু’জনেই চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন।