নয়াদিল্লি: শেষ হয়েও শেষ হচ্ছেন না লকডাউন৷ নির্ধারিত ১৪ এপ্রিল নাও উঠতে পারে দেশজুড়ে চলা লকডাউন৷ লকডাউনের শেষ দিনে পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে৷ দেশের কিছুকিছু এলাকায় বাড়তে পারে লকডাউনের সময়সীমা৷ ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে বেশ কয়েকটি হটস্পট চিহ্নিত করেছে কেন্দ্র৷ সেই সমস্ত চিহ্নিত এলাকারগুলিতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে সূত্রের খবর৷ বন্ধ থাকতে পারে স্কুল-কলেজ, মল, সিনেমা হল৷ কিছু এলাকায় শিথিল হতে পারে লকডাউন৷
এর আগে করোনা পরিস্থিতির মোকাবিলা ২১ দিন দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আগামী ১৪ এপ্রিল সেই লকডাউনের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা৷ কিন্তু, নির্ধারিত দিনে তা লকডাউন নাও উঠতে পারে৷ তবে, কোনও কোনও এলাকায় ছাড় দেওয়া হলেও পরবর্তী ক্ষেত্রে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তা নিয়ে পর্যলোচায় বসছে কেন্দ্রের মন্ত্রিগোষ্ঠী৷ ওই গোষ্ঠীতে রয়েছেন রাজনাথ সিং থেকে অমিত শাহরা৷ মন্ত্রিগোষ্ঠীর গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠক হবে ১২ থেকে ১৩ এপ্রিল৷ ওই বৈঠকের পর দেওয়ার হতে পারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত৷
সূত্রের খবর, এখনও পর্যন্ত করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে বেশি কিছু চিহ্নিত করা হয়েছে৷ সেই সমস্ত এলাকায় লকডাউনের মেয়াদ আরও কিছুটা বাড়তে বলে তৈরি হয়েছে আশঙ্কা৷ এক থেকে দু’সপ্তাহ ওই সমস্ত চিহ্নিত এলাকাগুলিতে লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে৷ এছাড়াও এমন ২০০টি জেলা রয়েছে, সেখান থেকে করোনাভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট মিলছে৷ সেই সমস্ত জায়গাগুলিতে চিহ্নিত করা হতে পারে৷ ফলে, পরিস্থিতি বুঝে ১৪ এপ্রিল লকডাউনের সময়সীমা বাড়ানো হতে পারে৷ একই সঙ্গে বেশ কিছু এলাকায় বিধিনিষেধ জারি হতে পারে বলে সূত্রের খবর৷ কয়েক ঘণ্টার জন্য লকডাউন শিথিল হতে পারে৷ কিছু কিছু স্থানে দেওয়া হতে পারে ছাড়৷
সূত্রের খবর, পরিস্থিতি বিবেচনা করে সবাইকে একসঙ্গে কাজে না আসারও পরামর্শ দেওয়া হতে পারে৷ সরকারি দপ্তরের ক্ষেত্রেও এই একই সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে৷ ৫০% কর্মী নিয়ে অফিসের কাজ চালু করার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে কেন্দ্র৷ সিনেমা হল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ থাকতে পারে৷ করোনা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার পর কেন্দ্রের মন্ত্রিগোষ্ঠী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বলে খবর৷
আজ দুপুরে বিজেপির ৪০ তম প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে জনতার মুখোমুখি হলেন নরেন্দ্র মোদি৷ সেখানেও করোনার বিরুদ্ধে ভারতের লড়াই জারি রাখার ঘোষণা করেন মোদি৷ জানান, ‘‘সামনে বড় লড়াই৷ এই লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত দেশ৷ এই পরিস্থিতিতে আমাদের জয় নিশ্চিত করতে হবে৷ সেই কারণে লকডাউন আমাদের মেনে চলতে হবে৷’’