লখনউ: কত কারণেই না বিয়ে ভাঙে! পণের দাবি থেকে বিয়েবাড়িতে বরযাত্রীদের পাতে মাংস কম পড়া- চার হাত এক হওয়ার আগেই আলাদা হয়ে যাওয়ার বিবিধ কারণই হাতের কাছে মজুত৷ তাই বলে অঙ্কে কাঁচা হওয়ার জন্য বিয়ে ভেঙে যাওয়া! সত্য সেলুকাস কী বিচিত্র এই দেশ! যদিও তলিয়ে ভাবলে বিষয়টি মোটেই উড়িয়ে দেওয়ার নয়৷ সংসার গড়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম শিক্ষাও যে দাম পাচ্ছে, আশার কথা সেটাই৷
অঙ্ক বিষয়টা এমনিতেই যথেষ্ট গোলমেলে। অঙ্কের নাম শুনলেই লাফ দিয়ে পালানোর সংখ্যাটা এদেশে নেহাত কম নয়৷ অঙ্ক নিয়ে অনেকের এমনই ভীতি যে পরীক্ষা এগিয়ে এলেই পেটের মধ্যে সেঁধিয়ে যায় হাত-পা৷ কিন্তু তাই বলে অঙ্ক কারও বিয়ে ভেঙে যাওয়ার কারণ হতে পারে! এমন অভাবনীয় ঘটনাই সত্যি হয়েছে উত্তরপ্রদেশের মাহোবা জেলায়। হবু বর দুয়ের ঘরের নামতা বলতে পারেননি বলে বিয়ে ভেঙে দিয়ে মণ্ডপ ছেড়ে চলে যান কনে৷
এই বিয়ের আসর বসেছিল গত শনিবার৷ স্থানীয় পানওয়ারি থানার হাউজ অফিসার বিনোদ কুমার জানিয়েছেন, সম্বন্ধ করেই এই বিয়ে স্থির করেছিলেন দুই পরিবারের লোকেরা৷ নির্দিষ্ট দিনে ধাওযার গ্রাম থেকে বিয়েও করতে এসেছিলেন ওই যুবক। কিন্তু কনের প্রথম থেকেই সন্দেহ ছিল হবু বরের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে৷ তাই মালাবদলের আগেই ভরা বিয়ের মণ্ডপে হবু বরকে দুয়ের ঘরের নামতা বলতে বলেন কনে৷ কিন্তু অঙ্কে একেবারেই কাঁচা ওই যুবক দুয়ের ঘরেরও নামতা বলতে পারেননি৷ এতেই চটে গিয়ে বিয়ের মণ্ডপ ছেড়ে চলে যান কনে৷ তাঁর সাফ কথা, যাঁর পেটে সামান্য শিক্ষাগত যোগ্যতাটুকুও নেই, তাঁর গলায় মালা দিতে তিনি অপারগ৷ প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনরা অনেক চেষ্টা করেও এই যুবতীর সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেননি৷
ওই যুবতীর এক সম্পর্কিত বোনের বক্তব্য, পাত্রপক্ষ তাঁদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে৷ পাত্র যে কোনওদিন স্কুলের ছায়া মাড়াননি, তা এতদিন খোলসা করেনি বরপক্ষ৷ কনের সাহসিকতাতেই সত্যিটা জানা গিয়েছে৷ সামাজিক লোকলজ্জার পরোয়া না-করে তাঁর দিদি নেওয়া পদক্ষেপে খুশি তিনি৷