নয়াদিল্লি: ‘এক দেশ, এক কর’ ব্যবস্থা চালু করতে গিয়ে কম সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়নি মোদিকে৷ এবার ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ চালু করতে বড়সড় পদক্ষেপ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ গোটা দেশজুড়ে এই ব্যবস্থা আদৌ চালু করা যায় কি না, তা জানতে আগামী ১৯ জুন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকেছেন নমো৷ মতামত জানাতে তৃণমূলকেও ওই বৈঠকে ডাকা হয়৷ কিন্তু, মোদির ডাকা ওই বৈঠকে তৃণমূল যাচ্ছে বলেই আজ চিঠি লিখে সাফ জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷
এর আগেও মোদির শপথ অনুষ্ঠান বয়কট করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ জের রেশ পৌঁছে যায় নীতি আয়োগের টেবেলেও৷ নীতি আয়োগের কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে সেই বৈঠকও বাতিল করেন মুখ্যমন্ত্রী৷ পরে, ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ চালু করাতে লোকসভা ও রাজ্যসভায় রাজনৈতিক দলগুলির প্রধানকে ডেকে বৈঠক করার কথা জানান মোদি৷ সেই মর্মে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডাকা হয়৷ কিন্তু, আজ দুপুরে মোদিকে চিঠি লিখে বৈঠক বয়কটের কথা ঘোষণা করেন মমতা৷
West Bengal CM & TMC Chief Mamata Banerjee has written a letter to Parliamentary Affairs Minister Pralhad Joshi and informed him that she will be unable to attend the meeting of Presidents of all political parties, called by the Prime Minister, scheduled for tomorrow. (file pic) pic.twitter.com/u50VfHIg6T
— ANI (@ANI) June 18, 2019
বুধবারের এই বৈঠকে সমস্ত রাজনৈতিক দলের লোকসভা ও রাজ্যসভার প্রতিনিধিদের উপস্থিতি থাকাতে আর্জি জানানো হয়েছে নরেন্দ্র মোদির দপ্তরের তরফে৷ সূত্রের খবর, সাংসদের নিজস্ব মতামত জানার পর বিষয়টি আগামী বাদল অধিবেশনে তুলতে পারেন মোদি৷ বিষয়টি নিয়ে আলোচনার পরই তা সংসদে উঠতে পারে৷ তবে, সংসদে এই মর্মে যদি কেন্দ্র বিল আনার চেষ্টা করে তা খুব সহজেই লোকসভায় পাশ হয়ে যেতে পারে৷ তবে, রাজ্যসভায় বাধার মুখোমুখি হলেও ২০২১-এর মধ্যে তা কাটিয়ে উঠতে পারবে কেন্দ্রের মোদির সরকার৷ কেননা, লোকসভায় একই ৩০০ বেশি আসন দখলে রেখে বিজেপি৷ রাজ্যসভায় আগামী ২০২১ সালের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা আদায়ের করে নিতে পারে বিজেপি৷ এই মুহূর্তে ২৪৫ আসনের মধ্যে রাজ্যসভায় এনডিএ জোটের হাতে রয়েছে ৯৯টি আসন৷ সংখ্যাগরিষ্ঠতা জন্য প্রয়োজন ১২৪৷ এবারের লোকসভা নির্বাচনে ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ৩০৩টি আসন৷ এনডিএ জোট পয়েছে ৩৫৩টি আসন৷ ফলে, রাজ্যসভার আসন বণ্টনের নিরিখে বিজেপি আগামী ২১ সালের মধ্যেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে যাবে৷ ফলে, সংসদরের দুই কক্ষে বিল পাশ করাতে কোনও চিন্তা করতেই হবে না মোদি-শাহদের৷