চেন্নাই: নৃশংস৷ শিক্ষকের বেধরক মারে চোখ খোয়াল ১৫ বছরের এক পড়ুয়া৷ অন্যান্য দিনের মতোই গত ৫ ফেব্রুয়ারি স্কুলে গিয়েছিল কার্তিক৷ কিন্তু বাড়ি ফিরল অসহ্য মাথায় যন্ত্রণা নিয়ে৷ তার মা রেখাদেবী জানান, ক্লাসে কার্তিককে স্কেল দিয়ে বেধরক মারেন তার শিক্ষক৷ তিনি বলেন, ‘ওই দিন বাড়ি ফিরে মাথা আর চোখের অসয্য যন্ত্রনায় ছটফট করতে শুরু করে কার্তিক৷ ধীরে ধীরে দেখি ওর বাম চোখটি লাল হয়ে ফুলতে শুরু করেছে৷ খানিক বাদে সে জানায়, দেখতে অসুবিধা হচ্ছে তার৷ সঙ্গে সঙ্গে কার্তিককে নিয়ে ডাক্তারের কাছে ছুটি আমরা৷’
মেদাভক্কমের গভর্নমেন্ট হাইয়ার সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্র কার্তিক৷ বর্তমানে রাজীব গান্ধী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার অপেক্ষায় সে৷ চোখে অস্ত্রপচার হবে তার৷ সেদিনের পর থেকে কার্তিকের আর স্কুলে যাওয়া হয়নি৷ বাম চোখে সে আর কোনও দিন দেখতে পাবে কিনা, তাও জানা নেই৷ তবে চিকিৎসকদের আশ্বাস, অস্ত্রপচার হলে দৃষ্টিশক্তি ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কার্তিকের৷
রেখাদেবী বেলন, ‘আমরা দিনরাত হাসপাতালে পড়ে রয়েছি৷ চোখের সামনে দেখছি যন্ত্রনায় কষ্ট পাচ্ছে ছেলেটা৷ ওর চিকিৎসার অনেক দেরি হয়ে যাচ্ছে৷’ এই ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে পাল্লিকারানাই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি৷ তবে এখনও এফআইআর-এর রিসিভ কপি তাঁদের হাতে আসেনি বলে জানালেন রেখাদেবী৷ তিনি আরও বলেন, ‘আমি আমার ছেলের সুবিচার চাই৷ কর্তৃপক্ষ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করে ওই শিক্ষককে স্কুল থেকে বহিষ্কার করুক৷’
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে জনৈক পুলিশ অফিসার জানান, কার্তিকের বাবা-মা এখনও পর্যন্ত তাঁদের ফোন নম্বর ও অন্যান্য কিছু নথি জমা করেননি৷ শুধুমাত্র লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন তাঁরা৷
কাঞ্চিপুরমের চিফ এডুকেশনাল অফিসারও এই বিষয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেননি৷