বেঙ্গালুরু: দীর্ঘ নাটক শেষে অনশেষে কর্ণাটকে কংগ্রেস-জেডিএস সরকারের হার৷ সরকার গঠন করতে চলেছে বিজেপি৷ বুধবার গোটা বেঙ্গালুরুতে জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা৷
আজ বিধানসভায় আস্থাভোট নিয়ে বিতর্কে অংশ নিয়ে এইচ ডি কুমারস্বামী বলেন, আমি অ্যাকসিডেন্টাল চিফ মিনিস্টার৷ আমি কোনওদিন ভাবিনি রাজনীতি করব৷ খুশিমনে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিতে পারি৷ আস্থাভোট নিয়ে স্পিকার ও রাজ্যের মানুষের কাছে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন কুমারস্বামী৷
#Karnataka Assembly: Congress-JD(S) secured 99 votes, BJP secured 105 votes https://t.co/Cbd5eRdamO
— ANI (@ANI) July 23, 2019
BS Yeddyurappa & other Karnataka BJP MLAs show victory sign in the Assembly, after HD Kumaraswamy led Congress-JD(S) coalition government loses trust vote. pic.twitter.com/hmkGHL151z
— ANI (@ANI) July 23, 2019
কর্ণাটকে জেডিএস-কংগ্রেস সরকারের বেশ কয়েকজন বিধায়ক পদত্যাগ করায় সঙ্কটে পড়ে সরকার৷ আজ অনাস্থা ভোটে ১৭ জন বিধায়ক বিধানসভায় গরহাজির ছিলেন৷ ১২ জন কংগ্রেসের ও ৩ জন জেডিএস বিধায়ক ভোটে অংশ নেননি৷ ফলে, শুরু থেকেই সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়ে পড়ে৷ ১৭ জন বিধায়ক অনুপস্থিত থাকার ফলে বিধানসভায় ২০৮ জন সদস্যকে নিয়ে আস্থাভোট হয়৷ ১০৫ বিধায়কের সমর্থন নিয়ে কর্ণাটক দখল করে বিজেপির৷ জেডিএস-কংগ্রেস জোট সরকারকে সমর্থন জানিয়েছেন ৯৯ জন বিধায়ক৷
গত বছর কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই চরম নাটক দেখা দেয়৷ ২২৪টি আসনের মধ্যে বিজেপি এককভাবে ১০৪টি আসনে জয়লাফ করে৷ যদিও ম্যাজিক ফিগার থেকে ৮ কদম দূরে থামতে হয়েছে৷ কর্ণাটক বিধানসভার সরকার গঠন নিয়ে কংগ্রেস-জেডিএস জোট ও বিজেপি উভয়পক্ষ হাজির হয় রাজ্যপালের কাছে৷ রাজ্যপাল সরকার করার জন্য ডাক দিয়েছিলেন বিজেপিকে৷ এরপরই বিজেপির পদপ্রার্থী ইয়েদুরাপ্পা মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়ে নেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর শপথের পর নাটকীয় পটপরিবর্তন ঘটে৷ কংগ্রেস-জেডিএস জোট তারা হাজির হয় সুপ্রিম কোর্টে৷ সুপ্রিম কোর্টের কথামতো ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে আস্থাভোটে যেতে হয় বিজেপিকে৷ তখন আস্থা ভোটের আগেই ইস্তফা দিয়ে দিলেন ইয়েদুরাপ্পা৷ সরকার গঠনের জন্য রাজ্যপাল কংগ্রেস-জেডিএস জোটকে ডাকেন৷ এইচ ডি কুমারস্বামী শপথ নেন মুখ্যমন্ত্রীর পদে৷ তার পর থেকে লাগাতার চাপে পড়তে থাকে কুমারস্বামী সরকার৷ নিজের দলের বিধায়কদের বিদ্রোহের জেরে ফের সংখ্যালঘু হয়ে পড়েন এইচ ডি কুমারস্বামী৷ অনস্থা ভোটে ঘটে পরাজয়৷