গণতন্ত্র ‘হত্যা’য় নয়া নজির গড়ল বিজেপি, ৮৫ শতাংশ আসনে বিনা লড়াইয়ে জয়

ত্রিপুরা: গণতন্ত্র হত্যায় ত্রিপুরায় নজির সৃষ্টি করল বিজেপি৷ রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮৫ শতাংশ আসনে বিরোধীদের প্রার্থী দিতে না দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে বিজেপি৷ পশ্চিমবঙ্গে গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল বিরোধীদের প্রার্থী না দিতে দিয়ে ৩৪শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছিল৷ ত্রিপুরায় বিজেপি সেই সংখ্যাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গে যে কায়দায় তৃণমূল বিরোধীদের উপর আক্রমণ

626e3b2ffcb7ab96c404a53548029e3d

গণতন্ত্র ‘হত্যা’য় নয়া নজির গড়ল বিজেপি, ৮৫ শতাংশ আসনে বিনা লড়াইয়ে জয়

ত্রিপুরা: গণতন্ত্র হত্যায় ত্রিপুরায় নজির সৃষ্টি করল বিজেপি৷ রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮৫ শতাংশ আসনে বিরোধীদের প্রার্থী দিতে না দিয়ে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিততে চলেছে বিজেপি৷ পশ্চিমবঙ্গে গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল বিরোধীদের প্রার্থী না দিতে দিয়ে ৩৪শতাংশ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেয়েছিল৷ ত্রিপুরায় বিজেপি সেই সংখ্যাকে পিছনে ফেলে দিয়েছে৷ পশ্চিমবঙ্গে যে কায়দায় তৃণমূল বিরোধীদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে, ভয় এবং সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছিল, প্রশাসনিক দপ্তরের মধ্যে গুন্ডাবাহিনী মজুত রেখে প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি, সেই সব প্রক্রিয়াগুলি ত্রিপুরায় বিজেপি কার্যকরী করেছে৷

শুক্রবার এক বিবৃতিতে সিপিএম পলিট ব্যুরো বলেছে, বিজেপি ত্রিপুরার পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছে৷ ত্রিপুরার আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার উপর বৃহৎ আকারে এবং ব্যাপক মাত্রায় আক্রমণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে৷ সিপিএম সহ বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ এবং দাখিলে নানাভাবে বাধা দিয়েছে বিজেপি’র সশস্ত্র দুষ্কৃতী বাহিনী৷ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মোট আসন ৬৬৪৬টি৷ এরমধ্যে লড়াই হবে ৯৯৪টি আসনে৷ আটটি জেলা পরিষদের মোট আসন ১১৬টি৷ বিরোধী দলের প্রার্থী আছে মাত্র ৭৯টি আসনে৷ ৩৫টি পঞ্চায়েত সমিতির মোট আসন ৪১৯টি৷ লড়াই হবে ৮২ আসনে৷ ২০টি পঞ্চায়েত সমিতি বিনাপ্রতিদ্বন্ধিতায় জিতে গিয়েছে বিজেপি৷ গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ৬১১১টি আসন৷ লড়াই হবে মাত্র ৮৩৩টি আসনে৷

ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের ৬ হাজার ৬৪৬টি আসনের জন্য মোট ৮ হাজার ৪০৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন৷ সোমবারই শেষ হয়েছে মনোনয়নপত্র গ্রহণপর্ব৷ মঙ্গলবার সমস্ত মনোনয়ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখা হয়েছে৷ ১১ জুলাই মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল। ভোট নেওয়া হবে ২৭ জুলাই। গণনা ৩১ জুলাই। ৫ আগস্টের মধ্যে সম্পন্ন হবে গোটা নির্বাচন প্রক্রিয়া। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ৫৯১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬১১১টি আসনের জন্য সব মিলিয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন ৭৪৮৮ জন। এর মধ্যে বিজেপি’র ৬১২৭, সিপিআই (এম)’র ৪০৮ জন, সিপিআই’র ৪ জন, কংগ্রেসের ৭২৭ জন, আইপিএফটি’র ৪৮জন, নির্দল ১৭২জন এবং অন্যান্য ২ জন। সর্বমোট ৬৬৪৬টি আসনের মধ্যে বামফ্রন্ট মনোনয়ন দিতে পেরেছিল ৬০০টি আসনে। তারমধ্যে জে‍‌লা পরিষদের ১১৬টির মধ্যে ৯৩টিতে বামফ্রন্ট প্রার্থীরা মনোনয়ন দিয়েছেন। পঞ্চায়েত সমিতির ৪১৯টি আসনের মধ্যে ৯৫টি এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬১১১টি আসনের মধ্যে ৪১২টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পেরেছিলেন বামফ্রন্ট প্রাথীরা। যদিও তারপর ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রার্থী তুলিয়ে নিতে বাধ্য করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *