আজ বিকেল: শ্বশুরবাড়ির উত্তরোত্তর পণের দাবি মেটাতে না পেরে মৃত্যু হল এক গৃহবধূর। মেয়ের বাবার আর্জি শুনে শ্বশুরবাড়ি পৌঁছে পুলি দেখে চুপি চুপি দেহ সৎকারের কাজ সেরে ফেলার চেষ্টা করছে মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। মৃতদেহের মুখের কাপড় সরাতেই হতবাক পুলিশ, বিছানায় লেপ্টে রয়েছে কঙ্কালসার একটা শরীর, সেটা যে কোনও তরুণীর দেহ দেখলে মনেই হবে না। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার করুনাগাপ্পালি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, মৃতার বয়স ২৭ বছর, ২০১৩-তে তাঁর বিয়ে হয়। বাপের বাড়ির তরফ গরিব তবুও সাধ্যমত পণ দিয়েই মেয়ের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অভিযোগ তাতেও রাক্ষুসে শ্বশুরবাড়ির চাহিদা মেটেনি। দুদিন অন্তর অন্তর মেয়েকে মেরে বাপের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হত, একটাই দাবি ফের টাকা পয়সা এলেই মেয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফিরতে পারবে, নচেৎ নয়। সবই জানতেন মেয়ের বাবা কিন্তু নিজেদেরই নুন আনতে পান্তা ফুরোয় তাই মেয়েকে ফিরিয়ে আনার সাহস দেখাননি। শ্বশুরবাড়িতে মার খেয়েই পড়েছিলেন ওই তরুণী, গাধার খাটুনি আর মারধর। খাওয়াদাওয়া দিত না বললেই চলে। কোনওদিন একপেটা কোনওদিন বা অভুক্ত এভাবেই কাটত দিনি। এদিকে দিনের পর দিন অভুক্ত থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই তরুণী ওজন কমতে কমতে ২০ কেজিতে এসে দাঁড়ায়।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ভিজে চাল আর এক বাড়ির চিনির রস তাঁর দৈনন্দিন খাবার ছিল। তাও প্রতিদন জুটত না, কিন্তু পিঠের মার বহাল থাকত। এদিন আচমকাই বাবা খবর পান কঙ্কালসার মেয়েকে ফের মারধর করছে শ্বশুরবাড়ির লোকজন। সঙ্গে সঙ্গেই থানায় গিয়ে কাঁদতে থাকেন প্রৌঢ়া, মেয়েকে বাঁচান। বাবার আর্তি শুনেই পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে।