তিয়াষা গুপ্ত: জেনারেল ক্যাটিগরির জন্য সংরক্ষণ বিল মঙ্গলবার পাশ হয়েছে লোকসভায়। বুধবার এই বিল নিয়ে প্রচারে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর কথায়, এই কোটা বিল ঐতিহাসিক। যারা সরকারের কাজ নিয়ে মিথ্যাচার করেন, এটা তাঁদের জন্য মুখের মতো জবাব। এদিন মহারাষ্ট্রর সোলাপুরের জনসভায় এভাবেই বিলের প্রশংসায় সরব হলেন মোদী।
সংবিধানের (১২৪ তম সংশোধনী) বল ২০১৯ মঙ্গলবার লোকসভায় পাশ হয়েছে। এতে জেনারেল ক্যাটিগরির ছেলেমেয়েদর শিক্ষা ও চাকরির ক্ষেত্রে ১০ শতাংশ সংরক্ষণ দেওয়া হবে। মোদীর আশা, সংসদের উচ্চকক্ষে বিলটি আবাধে পাশ হবে। তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, এতে বঞ্চিত, দলিত ও উপজাতি সম্প্রদায়ের স্বার্থ লঙ্ঘিত হবে না। লোকসভায় এই বিল পাশ হয়ে যাওয়ার পর ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে তিনি লেখেন, এই বিলের মাধ্যমে সমাজের সর্বস্তরে সমানাধিকার প্রতিষ্ঠা হল। তাঁর সরকারের নীতি সবকা সাথ সবকা বিকাশ এই সংরক্ষণের সিদ্ধান্তে প্রতিফলিত হল বলে মনে করেন তিনি।
সোমবার জেনারেল ক্যাটিগরির সংরক্ষণের বিষয়টি সামনে আসে। ওই দিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকে সংরক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। পরে সরকারের তরফে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়। এবং পরের দিনই তড়িঘড়ি লোকসভায় এই সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে সংবিধান সংশোধনী বিল পাশ হয়।
একইসঙ্গে তিনি অসম ও উত্তরপূর্বের বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করে বলেন, নাগরিক বিল পাশের মধ্য় দিয়ে তাঁদের স্বার্থ লঙ্ঘন করা হবে না। মহারাষ্ট্রে একগুচ্ছ প্রকল্প উদ্বোধনে এসেছেন মোদী। ২১ নম্বর জাতীয় সড়কের সোলাপুর-ওসমানবাদ অংশের চার লেন বিশিষ্ট রাস্তার উদ্বোধন করেন। বিশেষ নিকাশী ব্যবস্থা চালু করেন। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার আওতায় ৩০০০০ বাড়ি নির্মাণের জন্য ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন।