নয়াদিল্লি: চিটফান্ড কেলেঙ্কারির তদন্ত নয়া বিলের অনুমোদন দিল লোকসভা৷ প্রবল হট্টোগোলের মধ্যে লোকসভায় পাশ হয়ে যায় ‘ব্যানিং অব আনরেগুলেটেড ডিপোজিট স্কিম সংশোধন বিল ২০১৮’ বিল৷ চিটফান্ড কেলেঙ্কারি রুখতে গত ৬ ফেব্রুয়ারি নয়া এই বিলের অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা৷ আজ, লোকসভায় চিটফান্ড বিরোধী বিল পেশ করা হয়৷ অন্যদিকে, আজ সাংসদের প্রবল বিক্ষোভের জেরে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতুবি হয়ে যায় রাজ্যসভার অধিবেশন৷ আজই ছিল মোদি সরকারের শেষ অধিবেশন৷ ফলে, লোকসভায় বিল পাশ হলেও এখনও রাজ্যসভায় ঝুলেই রইল নয়া এই বিল৷
চলতি মাসেই মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, চিটফান্ড বন্ধ করতে কঠোর আইন প্রনয়ণের জন্য মন্ত্রিসভার অর্থ বিষয়ক কমিটি অনুমোদন দিয়েছে। ‘ব্যানিং অব আনরেগুলেটেড ডিপোজিট স্কিম সংশোধন বিল ২০১৮’ সংসদের চলতি অধিবেশনেই পেশ ও পাশ করানো হবে বলেও জানান তিনি৷ এরপর আজ লোকসভায় বিলটি পেশ করা হয়৷
কী রয়েছে ওই বিলে? কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী জানিয়েছেন, অনুমোদনহীন অর্থলগ্নি সংস্থা যদি বিজ্ঞাপন দিয়ে সাধারণ মানুষের থেকে টাকা জমা নেওয়ার চেষ্টা করে, তা হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে৷ করা হবে এফআইআর৷ একই সঙ্গে ওই সংস্থার সেলিব্রিটি ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডরকেও গ্রেপ্তার করা হতে পারে৷ সংস্থার সমস্ত সম্পত্তি বিক্রি করে আমানতদারীদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলেও বিলের জানানো হয়েছে৷ দেশে বহু ক্ষুদ্র অর্থলগ্নি সংস্থা রয়েছে যাঁরা সরকারের নিয়ম মেনে নিষ্ঠা ও সততার সঙ্গে কাজ করছেন, তাদের চিন্তা করার কোনও কারণ নেই বলেও জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী৷ তবে, অনুমোদনহীন সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি৷
রাজধানীতে সাংবাদিক বৈঠকে রবিশঙ্কর প্রসাদ জানান, ২০১৪ সালে সরকার চিটফান্ড কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। তার পরেও গত তিন বছরে বেআইনি ১৬৬ অর্থলগ্নি সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা করেছে সিবিআই। এর মধ্যে বেশির ভাগই পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশায়৷