কর্ণাটক: কর্নাটকে মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা সরকারের আস্থা ভোটের ২৪ ঘণ্টা আগে ১৭ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করেন বিধানসভার স্পিকার রমেশ কুমার৷ আর তাতেই সংঘালঘু হয়ে পড়ে কংগ্রেস-জেডি জোট৷ বিধানভার অধ্যক্ষের জারি করা নির্দেশের এবার বহাল রাখল দেশের শীর্ষ আদালত৷ ১৭ বিধায়কের পদ খারিজ হলেও আগামী উপনির্বাচনে তাঁরা লড়াই করতে পারবেন বলে জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট৷
আজ শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, কর্ণাটকে বিদ্রোহী কংগ্রেস-জেডি জোট ১৭ জন বিধায়কের পদ খারিজের সিদ্ধান্ত সঠিক৷ তবে তারা উপনির্বাচনে লড়তে পারবেন বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত৷ এর আগদে ১৭ জন বিধায়কের সদস্যপদ খারিজ করেন বিধানসভার স্পিকার রমেশ কুমার জানান, পদ খারিজ হওয়া বিধায়করা বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ থাকাকালীন তাঁরা কোনও নির্বাচনে লড়তে পারবেন না৷ সেই সেই নির্দেশ খারিজ হয়ে গিয়েছে৷
Supreme Court says that the 17 Karnataka MLAs can contest the by-elections in the state. https://t.co/UEW8qTzNRj
— ANI (@ANI) November 13, 2019
কংগ্রেস-জেডিএসের ১৭ জন বিদ্রোহী বিধায়ক বিধানসভার অধ্যক্ষকে তাঁদের ইস্তফাপত্র দিয়ে মুম্বইয়ে ঘাঁটি গাড়ে৷ আত তার জেরে এইচডি কুমারস্বামী সরকারের পতন হয়৷ অধ্যক্ষ তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করছেন না বলে অভিযোগ তুলে বিদ্রোহী বিধায়কেরা সুপ্রিম কোর্টে মামলা ঠোকেন৷ শীর্ষ আদালতে রমেশ কুমার সাফ জানিয়ে দেন, ইস্তফার প্রশ্ন নয়, ওই বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজের প্রস্তাব বিবেচনাধীন৷ কংগ্রেস-জেডিএস সেই প্রস্তাব দিয়েছে বলেও জানান তিনি৷
এরপর সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দেয়, কুমারস্বামীর আস্থাভোটে বিদ্রোহী বিধায়কদের বিধানসভায় যোগ দিতে বাধ্য করা যাবে না৷ ওই বিধায়কদের ব্যাপারে স্বাধীন ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার রয়েছে অধ্যক্ষের৷ এর পরে তাঁদের ইস্তফা গ্রহণ করার বদলে বিধায়কদের সদস্যপদ খারিজ করেন অধ্যক্ষ৷ এরপর বিক্ষুব্ধ বিধায়করা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন৷