আজ বিকেল: ধুলো ঝড়ের প্রভাবে বড়সড় বিপর্যয়ের মুখে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রয়াগরাজ। উত্তরপ্রদেশে প্রবল বজ্রপাত ও ধুলোর ঝড়ে এখনওপর্যন্ত ১৯জনের মৃত্যু হয়েছে। আহতের সংখ্যা ৪৮, আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তাঁদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে খবর। হাসপাতাল সূত্রের খবর, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। মর্মান্তিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়টি ঘটেছে শুক্রবার। ধুলোর ঝড়ের তাণ্ডব ও সঙ্গে প্রবল বজ্রপাতে একেবারেই বেসামাল গোটা উত্তরপ্রদেশ। রাজ্যের মোরাদাবাদ, বদাউন, পিলভিট, মথুরা, কনৌজ, সম্বল এবং গাজিয়াবাদ, কাসগঞ্জ, এটাহ-কে উপদ্রুত এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করা গিয়েছে।
এদিকে বিপর্যয়ের খবর পেয়েই পথে নেমেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রশাসন, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের সঙ্গে রীতিমতো জরুরি ভিত্তিতে একপ্রস্থ বৈঠক সেরেছেন তিনি। তারপরই ত্রাণও উদ্ধারের কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। এই প্রসঙ্গেই উত্তরপ্রদেশের তথ্য দপ্তরের প্রধান সচিব অবনীশ অবস্থি জানিয়েছেন, ক্ষতিগ্রস্তদের সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সকলের কাছে ঠিকভাবে ত্রাণ পৌঁছচ্ছে কিনা সে দিকেও বিশেষ নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। উপদ্রুত এলাকায় ত্রাণ ও উদ্ধারকাজ দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী এবং জেলার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকদের কাছে নির্দেশিকা পৌঁছেছে।
রাজ্যের ত্রাণ কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে মইনপুরিতে মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। এটাহ এবং কাসগঞ্জে মারা গিয়েছেন মোট ৬ জন। এর মধ্যে একজন করে মানুষের মৃত্যু ঘটেছে যথাক্রমে মোরাদাবাদ, বদাউন, পিলভিট, মথুরা, কনৌজ, সম্বল এবং গাজিয়াবাদে। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে দুর্যোগ শুরু হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জেলায়। রাত যত বাড়তে থাকে দুর্যোগের তীব্রতাও বাড়তে থাকে। প্রবল বেগের ধুলোঝড়ের সঙ্গী হয় বজ্রবিদ্যুৎ। ভেঙে যায় অসংখ্য বাড়ির দেওয়াল। উপড়ে যায় অসংখ্য গাছ। পরিস্থিতির ক্রমশ অবনতি হতে শুরু করে। শোনা যাচ্ছে, শুধু মইনপুরিতেই আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৪১ জন। মানুষের পাশাপাশি আটটি গবাদি পশুরও মৃত্যু হয়েছে।