কাশ্মীর: অবেশেষে টনক নড়ল। রবিবার থেকে নিরাপত্তা বাহিনীর গাড়ি যাতায়াতের সময় সাধারণ গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি হল। ২নম্বর জাতীয় সড়কে প্রতি রবি এবং বুধবার করে এই নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। জাতীয় সড়কে সার দিয়ে গাড়ি দাঁড়িয়ে। কারণ, গাড়ি চলাচলের অনুমতি নেই। কর্তব্যরত পুলিসকর্মীর কাছে বহু চালকেরই অনুরোধ, যাতে তাঁদের গাড়ি রাস্তায় ঢুকতে দেওয়া হয়।
তবে সাড়া মেলেনি। রবিবার থেকে ২৭০ কিলোমিটার লম্বা বারামুল্লা–উধমপুর জাতীয় সড়কে এই নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। তবে ওই সময়ের মধ্যে কোনও জরুরি পরিষেবামূলক গাড়ি যেতে চাইলে সেগুলির জন্য বিশেষ পাস দেওয়া হবে। এই ব্যবস্থার ফলে রবিবার বারামুল্লা–উধমপুর সড়কের দু’পারেই থমকে গিয়েছে কয়েকশো গাড়ি। সেগুলি যেতে দেওয়ার জন্য যাত্রীরা পুলিস এবং সেনাবাহিনীর কাছে অনুরোধ–উপরোধ জানালেও কোনও কিছুতেই কর্ণপাত করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী।
প্রতি রবিবার ও বুধবার এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগে ভারতীয় সেনার কনভয় যাতে নিরাপদে যাতায়াত করতে পারে এবং পুলওয়ামা-কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে জন্যই এ বন্দোবস্ত বলে জানানো হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। ভোর ৪টে থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই নির্দেশ মেনে চলতে হবে। আগামী ৩১ মে পর্যন্ত এই বন্দোবস্তই চালু থাকবে। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে সড়কে যাতায়াতের জন্য সাধারণ গাড়ির চালকদের ডিউটি ম্যাজিস্ট্রেটের থেকে বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। কেন্দ্রের এই নির্দেশিকায় সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয়রা। এই ব্যবস্থার সমালোচনা করেছে রাজনৈতিক দলগুলি।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সেনার কনভয়ে একটি বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি ঢুকে আত্মঘাতী হামলা চালিয়েছিল জৈশ জঙ্গি। পুলওয়ামার সে ঘটনার এক মাসের মধ্যেই নিরাপত্তা বাহিনীর কনভয়ে ফের একটি গাড়ি ঢুকে পড়ে। পুলওয়ামা-কাণ্ডের মতো ঘটনা যাতে রোখা যায়, সে জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা