গুয়াহাটি: কিছুদিন আগে কেরলে একটি গর্ভবতী হাতিকে বিস্ফোরক ভর্তি আনারাস খাইয়ে হত্যা করার জন্য সারা দেশ তোলপাড় হয়। সোশ্যাল মিডিয়া বিক্ষোভ ফুঁসতে থাকে। অভিযুক্তের কঠোর শাস্তির দাবি করতে থাকে নেটিজেনরা। ফের গ্রামবাসীদের হাতে বন্যপ্রাণের মৃত্যু হল। এবার একটি লেপার্ডকে গ্রামবাসীরা পিটিয়ে শুধু হত্যা করেনি। হত্যার পর তাঁর চামড়া ও দাঁত তুলে নেয়। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে পুলিশ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করে।
গুয়াহাটিতে এক লেপার্ডকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় অসম পুলিশ ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তার মধ্যে একজন নাবালক। নাবালককে হোমে পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকিদের খোঁজে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।
রবিবার ভোরে লেপার্ডটিকে ধরে ফেলেন অসমের গুয়াহাটির কথাবারির বাসিন্দারা। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন খেতে পায়নি লেপার্ডটি। অনাহারে লেপার্ডটি দুর্বল ছিল। সকালের দিকে ওই এলাকার বাসিন্দারা পিটিয়ে চিতাটাকে মেরে ফেলে। তুলে নেওয়া হয় বাঘের দাঁত ও চামড়া। বাঘটাকে নিয়ে রীতিমতো প্যারেড করা হয়। পোজ দিয়ে ছবি তোলা হয়। এই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি প্রকাশ পেতেই সারা দেশ জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। তবে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নেয়। ঘটনায় ২৪ ঘণ্টা পেরতে না পেরতেই পুলিশ ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছয়জনকে গ্রেপ্তার করে।
তবে রবিবারের ঘটনা কোনও বিচ্ছিন্ন নয়। গত মার্চে জোরহাটে এক লেপার্ডকে খুন করা হয়েছিল। অপর একটি ঘটনায় গোলাঘাট জেলায় তিন লেপার্ডকে হত্যা করা হয়েছিল। কয়েকদিন আগে একটি হাতিকে বিস্ফোরক ভর্তি আনারাস খাইয়ে মারা হয়। ঘটনার জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে দেশ। পাঁচ দিনের মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।