নয়াদিল্লি: গত একবছর ঘরবন্দি থাকার পরও করোনা নামক মারণ ভাইরাসের থাবা থেকে রেহাই পেলেন না জনপ্রিয় লেখিকা ও সমাজকর্মী তসলিমা নাসরিন। তিনিও কোভিড আক্রান্ত হলেন।
তিনি জানিয়েছেন, গত এক বছর ধরে তিনি বাড়ি থেকে কোথাও বের হননি। তার পরেও কী ভাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত হলেন, এ বিষয়ে লেখিকা বিষ্ময় প্রকাশ করেছেন। বিস্ময় প্রকাশ করে টুইটারে তসলিমা লিখেছেন, ‘এক বছরের বেশি হতে চলল বাড়ির বাইরে পা রাখিনি। কাউকে বাড়িতে ঢোকার অনুমতিও দিইনি। আমার বাড়িতে আমি আর আমার বিড়াল ছাড়া আর কেউ নেই৷ যদি জানতে পারতাম কী করে সংক্রমিত হলাম তাহলে ভীষণ ভালো হত।’
তবে মাস দুয়েক আগে করোনার ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। সেই কারণে গত এক বছরে ওই এক ঘন্টার জন্যই বাইরে বেরিয়েছিলেন বলে জানিয়েছেন তিনি। যেখানে করোনা নামক অতিমারি ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব একটি বড় হাতিয়ার, সেখানে একবছর ঘরবন্দি থেকেও নিজের শরীরে কোভিডের প্রবেশ রুখতে ব্যর্থ হলেন তসলিমা। এ প্রসঙ্গে রবিবার ফেসবুকে তসলিমা লিখেছেন, ‘আমি চিরকালই দুর্ভাগা। গত বছর মার্চ মাস থেকে বাড়িতে একা রয়েছি। একটা বিড়ালকে সঙ্গী করে। কোথাও বাইরে যায়নি। বাড়িতে কেউ আসতেও দিইনি। রান্না করেছি, খেয়েছি, কাপড় কেচেছি, ঘর ঝেড়েছি, সব একা করেছি। কী লাভ হল?’
i haven’t stepped out of my home for more than a year. Didn’t allow anyone to enter my home. i was alone with a cat. And then i caught covid-19. Wish i knew how i caught it. ☹️
— taslima nasreen (@taslimanasreen) May 9, 2021
ঠিক ১৮ ঘণ্টা আগে বাংলাদেশের ইদের কেনাকাটার ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন লেখিকা। লিখেছিলেন, ‘বাংলাদেশ। যেখানে ইদের কেনাকাটা এবং এর ওর বাড়ি যাওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই খারাপ সময়ে মানুষের প্রাণ বাঁচানোর থেকেও।’ প্রসঙ্গত, গত বছর দেশে করোনা ভাইরাস দ্রুত সংক্রিমত হওয়ার জন্য তবলিঘি জামাতের সমাবেশকে দায়ী করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন তসলিমা। ওই সংগঠনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবিও জানিয়েছিলেন তিনি। টুইটারে লিখেছিলেন, ‘সন্ত্রাস ছড়ানোর পিছনে বহু ক্ষেত্রেই জামাতের পরোক্ষ যোগ থাকে। উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান, কাজাখস্তানও তাদের নিষিদ্ধ করেছে।’