৪০০ ফুট গভীর গর্তের ৫৫ ফুটে আটকে ছিল তন্ময়! ৬৫ ঘণ্টা পর বেরিয়ে এল নিথর দেহ

৪০০ ফুট গভীর গর্তের ৫৫ ফুটে আটকে ছিল তন্ময়! ৬৫ ঘণ্টা পর বেরিয়ে এল নিথর দেহ

ac08f423879eb820fba6a75314e52286

ভোপাল: ৬ ডিসেম্বরের ঘটনা। বাড়ির সামনেই ৪০০ ফুট গভীর বোরওয়েলে পড়ে গিয়েছিল আট বছরের তন্ময় সাহু। আটকে গিয়েছিল ৫৫ ফুট গভীরে। বিষয়টি জানাজানি হতেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছিল। লাগাতার ৬৫ ঘণ্টা ধরে উদ্ধারকাজ চললেও শেষরক্ষা হল না। গর্ত থেকে শেষ পর্যন্ত তন্ময় বেরিয়ে তো এল, কিন্তু নিথর হয়ে। তার মৃত্যু হয়েছে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের বেটুলে গভীর কুয়োতেই মারা গেল আট বছর বয়সি বালক।

আরও পড়ুন: সুন্দরবন নিয়ে বড় তথ্য দিলেন মুখ্যমন্ত্রী, হচ্ছে একাধিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রও

বোরওয়েলে পড়ে যাওয়ার পর সেই রাত থেকেই উদ্ধারকাজ শুরু হয়। কিন্তু তন্ময়ের পরিবারের অভিযোগ, যতটা সময় লাগার কথা তার থেকে বেশি সময় নেওয়া হয়েছে উদ্ধারকাজে। কোনও নেতা বা অফিসারের সন্তান হলে এত সময় নিশ্চয়ই লাগত না। মৃতের বাবার আরও অভিযোগ, ছেলের দেহ তাঁকে দেখতে দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি ছেলেকে নিয়ে কোনও কথাও জানান হচ্ছে না তাদের। তন্ময়ের বাবা জানিয়েছেন, ভাইকে কুয়োয় পড়ে যেতে দেখে তাঁর মেয়ে ঘটনাটি বাড়িতে জানায়। ৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তন্ময়কে বাঁচানো গেল না।

মধ্যপ্রদেশের বেটুল জেলার মান্ডভি গ্রামের বাসিন্দা তন্ময় সাহু, বয়স ৮। পুলিশ সূত্রে খবর, বাড়ির সামনেই একটি মাঠে খেলছিল। আচমকাই মাঠের পাশেই খোঁড়া একটি বোরওয়েলে পড়ে যায় তন্ময়। উদ্ধারকাজ শুরুর পর মাটি কাটার মেশিন দিয়ে বোরওয়েলের আশেপাশের মাটি কাটা শুরু হয়। বোরওয়েলের ভিতরে আটকে থাকা তন্ময়কে বাঁচিয়ে রাখতে কৃত্রিমভাবে অক্সিজেন সরবরাহও করা হয়। কিন্তু জানা গিয়েছে, পাথুরে মাটি থাকার কারণে দ্রুত খননকাজ চালানো যায়নি। এদিকে প্রথম প্রথম কুয়োর ভিতর থেকে তন্ময়ের সাড়া মিললেও শেষ কয়েক ঘণ্টায় তা পাওয়া যায়নি। অনুমান, কোনও অজ্ঞাত কারণে সে জ্ঞান হারিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তার নিথর দেহ বের করে আনা হয়েছে।   

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *