চেন্নাই: নেশার ঘোরে নিজেরই মলদ্বারে মদের বোতল ঢুকিয়ে দিলেন মদ্যপ৷ তাজ্জব হয়ে গিয়েছেন চিকিৎসকরা৷ দু’ঘণ্টার অপারেশনের পর তা বার করা সম্ভব হয়েছে৷ এমন ঘটনাই ঘটেছে তামিলনাড়ুতে৷
করোনা সংক্রমণে জেরে লকডাউন ঘোষণা হওয়ার পর শোচনীয় অবস্থার মধ্যে পড়েন মদ্যপারা৷ লকডাউন দীর্ঘ হওয়ায় মদের দোকান বন্ধ থাকার কারণে সমস্যা বাড়তে থাকে সুরাপ্রেমীদের৷ দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে মদের দোকান খুললেও সামাজিক দূরত্ব মেনে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে তবেই পানীয় মেলে৷ মদ না পেয়ে দিশেহারা অবস্থায় পৌঁছে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর জন্য এই সময়ে রং করার বার্নিস খেয়ে মৃত্যুর দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল অনেক সুরাপ্রেমী৷
কিন্তু তাই বলে নেশার ঘোরে মদের বোতল মলদ্বার দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়ার ঘটনা রীতিমতো চমকে দিয়েছে অনেককেই! এর পর অসুস্থ মদ্যপকে বাঁচাতে হিমশিম খেতে হয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসকদেরও৷ চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে তামিলনাড়ুর নাগাপট্টিনাম জেলায়৷ জানা গিয়েছে, নেশার ঘোরে এই কাণ্ড ঘটানোর পর হুঁশ ফিরতে পেটের যন্ত্রণায় কাতরাতে থাকে ওই মদ্যপায়ী৷ এই অবস্থায় নাগাপট্টিনামের একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বছর ২৯ বছরের ওই যুবককে৷
দেহ স্ক্যান করার পর রিপোর্ট হাতে পেয়ে চক্ষু চড়ক গাছ চিকিৎসকদের৷ তাঁরা দেখেন যুবকের পাকস্থলীর ভিতরে ঢুকে রয়েছে আস্ত একটা কাচের বোতল! এর পরই অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নেন চিকিৎসকরা৷ দীর্ঘ দু’ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর যুবকের পাকস্থলী থেকে বোতলটি বের করতে পারেন তাঁরা৷ জ্ঞান ফেরার পর যুবকের থেকে চিকিৎসকরা জানতে চান, কী ভাবে ওই বোতল তাঁর পাকস্থলীতে পৌঁছাল? উত্তরে যুবক যা বলেন, তা শুনে চোখ কপালে ওঠে চিকিৎসকদের। যুবক জানান, নেশার ঘোরে তিনি নিজেই ওই বোতলটি মলদ্বার দিয়ে ঢুকিয়ে ফেলেছিলেন। তাঁর পর যন্ত্রণায় জ্ঞান হারান!