চেন্নাই: দীর্ঘদিনের মনোমালিন্য এবং স্বামীর অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে শেষে বিবাহ বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্ত্রী। সেইমতো আদালতেও উঠেছে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা। কিন্তু বিষয়টিকে প্রথম থেকেই ভালো চোখে দেখেননি স্বামী। আর তাই বিচ্ছেদের মামলার শুনানির দিন আদালতের বাইরেই স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে কোপাল স্বামী। ঘটনাটি তামিলনাড়ুর পেরাম্বালুর জেলার। ওই জেলারই নিম্ন আদালতে সম্প্রতি ছিল এই দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদের শুনানি। শুনানির দিন যখন তাঁরা আদালতের কাছাকাছি পৌঁছায় তখনই আক্রান্ত ওই মহিলার স্বামী এই কাণ্ড ঘটিয়েছে বলে খবর। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই ব্যক্তি হঠাৎই একটি ছুরি নিয়ে মহিলার উপর চড়াও হন এবং কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁকে ছুরি দিয়ে বেশ কয়েকবার কোপ মারেন। এরপর আশেপাশের মানুষের চেষ্টাযতেই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ওই মহিলাকেও সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার জন্য নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে জানা যাচ্ছে তাঁর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। এই মুহূর্তে স্থানীয় একটি সরকারি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে পেরাম্বালুরের পুলিশ সুপারেনটেন্ড এস মনি জানিয়েছেন, ‘সম্প্রতি সুধা এবং কমরাজ নামের এক দম্পতির বিচ্ছেদের মামলা আদালতে উঠেছে। সেই আদালতে শুনানির দিন যখন সুধা আদালতে পৌঁছানোর জন্য বাসে ওঠেন দুর্ভাগ্যক্রমে সেই একই বাসে ওঠেন তার স্বামীও। এরপর বাসটি আদালতের নিকটবর্তী স্টপে পৌছতেই যখন সুধা বাস থেকে নামেন তখনই তাঁর ওপর ছুরি নিয়ে চড়াও হয় তাঁর স্বামী। বাস স্টপ ভর্তি লোকের সামনেই সুধাকে রাস্তায় ফেলে সে বেশ কয়েকবার ছুরি দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃত খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তবে সেই সঙ্গে আরও জানা গিয়েছে যে, এই ঘটনায় সুধা ছাড়াও একজন পুলিশ আধিকারিকও আহত হয়েছেন। কারণ সুধা এবং তার স্বামীর সঙ্গে ওই একই বাসে ছিলেন একজন পুলিশ আধিকারিক। বাসস্টপে যখন সুধার উপর তাঁর স্বামী আক্রমণ করে তখন তাঁকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়েন ওই আধিকারিক। এই ঘটনায় তাঁরও ছুরির আঘাত লেগেছে বলে খবর। ফলে ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিককে আক্রমণ করার অভিযোগও আনা হয়েছে।