চেন্নাই: রানার চলেছে তাই ঝমজম ঘণ্টা বাজছে রাতে। এ যেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের রানার গানের বাস্তবরূপ। সুখ দুঃখের ঝোলা হাতে তামিলনাড়ুর এই রানার পাড়ি দিয়েছে কত গ্রাম, কত বন তার কোনও ঠিক নেই। এই রানারের লক্ষ্য তো একটাই। ঝোলা ভর্তি সুখ দুঃখের খবর পৌঁছে দিতে হবে ঠিকানায়। গত ৩০ বছর ধরে তিনি প্রত্যন্ত গ্রামে চিঠি পৌঁছে দিতে ১৫ কিলোমিটার হাঁটতেন।
৩০ বছর পর তিনি বিশ্রাম নিতে চলেছেন এই রানার। সোশ্যাল মিডিয়ায় রানার খবর জানার পরেই নেটিজেনদের প্রশংসা কুড়াতে শুরু করেছেন সি ডিভান। জানা যায় তামিলনাড়ুর কুনুর নামের দুর্গম এলাকাতেও তিনি চিঠি পৌঁছে দিয়েছেন। চিঠি পৌঁছে দিতে কখনও পার হতে হয়েছে পিচ্ছিল নদী তো কখনও গভীর বন। একাধিকবার ভালুকের তাড়া তিনি খেয়েছিলেন। হাতিও তাঁকে তাড়া করেছেন। কিন্তু নিজের চাকরি ছাড়েননি। কর্ম থেকে বিরতি নেননি। তাঁর কাছে যে রয়েছে কত মানুষের সুখ দুঃখের খবর।
আইএএস অফিসার সুপ্রিয় সাহু বুধবার সি ডিভানের একটা ছবি দিয়ে পোস্ট করেন। সেখানে তিনি লেখেন বুধবার ডিভান অবসর নিয়েছেন। তার আগে তিনি ৩০ বছর পোস্ট অফিসে কাজ করতেন। কুন্নরের মতো দুর্গম এলাকাতে চিঠি পৌঁছে দিতে দিনে ১৫ কিমি হাঁটতেন। জীবনে একাধিকবার কাজের তাগিদে তাঁকে বুনো শূয়র, হাতি, ভাল্লুকের তাড়া খেতে হয়েছে। আইএএস অফিসারের এই টুইটে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। ইতিমধ্যেই সেটি ১২ হাজার রিটুইট হয়েছে। ৬১,০০০ টি লাইক কুড়িয়েছে পোস্টটি। অনেকে লিখেছেন, মিঃ সিভানকে অবসরকালীন জীবনের জন্য শুভেচ্ছা। তাঁর এই কাজের জন্য নিঃসন্দেহে তিনি অনেকের কাছে রোল মডেল হয়ে উঠবেন।