চিনা আগ্রাসন রুখতে কতটা প্রস্তুত ভারত? সময় এখন হিসেব নেওয়ার

চিনা আগ্রাসন রুখতে কতটা প্রস্তুত ভারত? সময় এখন হিসেব নেওয়ার

09dbd4440c3b2cf35adb0b97870ef022

 

নয়াদিল্লি: সীমান্তে ক্রমশ শক্তি বাড়াচ্ছে ভারত৷ চিনা লাল ফৌজের আগ্রাসন রুখতে আনা হচ্ছে অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র৷ খুব শীঘ্রই জরুরি ভিত্তিতে ভারতের হাতে আসতে চলেছে অত্যাধুনিক রাফাল যুদ্ধবিমান৷ এই যুদ্ধবিমানকে আরও শক্তিশালী করতে এর সঙ্গে ঘাতক হ্যামার মিসাইল জুড়তে চলেছে ভারতীয় বায়ুসেনা৷ মোট ৩৬টি রাফাল যুদ্ধবিমানের বরাত দিয়েছে ভারত৷ এর মধ্যে আগামী ২৯ জুলাই আম্বালা বায়ুসেনা ঘাঁটিতে এসে পৌঁছবে পাঁচটি রাফাল জেট৷  

এই রাফাল যুদ্ধবিমানের সঙ্গে যুক্ত করা হবে ক্ষেপণাস্ত্র হ্যামার৷ এটি বায়ু থেকে ভূমিতে আঘাত হানতে সক্ষম মাঝারি পাল্লার একটি ক্ষেপণাস্ত্র৷ ৬০ কিলোমিটার দূরে থাকা যে কোনও লক্ষ্যবস্তুতে অব্যর্থভাবে আঘাত হানতে সক্ষম এটি৷ পূর্ব লাদাখের উঁচু পার্বত্য এলাকা হোক বা সমতল, এই ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সহজেই শত্রু শিবিরের বাঙ্কার বা সেনাঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়া সম্ভব৷ প্রথমিকভাবে ফরাসি বায়ুসেনা ও নৌসেনাবাহিনীর জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করেছিল সাজেম (স্যাফরন গ্রুপ)৷   

এছাড়াও শত্রুট্যাঙ্ক গুঁড়িয়ে দিতে প্রস্তুত ‘ধ্রুবাস্ত্র’ মিসাইল৷ এই মাসেই ওড়িশার বালাসোরে এর পরীক্ষা সফল হয়েছে৷ শত্রু ট্যাঙ্ক ধ্বংস করতে হেলিকপ্টার থেকে এই ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হবে৷ এই ক্ষেপনাস্ত্র দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি। ৪ কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তু খতম করার ক্ষমতা রয়েছে এর।

চলতি মাসের শুরুতেই যুদ্ধবিমান (২১টি নিগ-২৯ এবং ১২টি এসইউ-৩০ এমকেআই), দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র এবং ব়্যাডার কেনার ছাড়পত্র দিয়েছিল কেন্দ্র৷ মস্কো সফরের সময়ও দ্রুত অ্যাসাল্ট রাইফেল এবং গোলাবারুদ সরবরাহের উপর জোড় দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং৷ এছাড়াও সমরাস্ত্র কেনার জন্য দেশের তিন বাহিনীকে ৫০০ কোটি টাকার জরুরি আর্থিক ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্র৷  

গত বুধবার ভারতীয় বায়ুসেনার কমান্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে রাজনাথ সিং বলেন, সংক্ষিপ্ত নোটিশে যে কোনও ঘটনার জন্য তাঁদের প্রস্তুত থাকতে হবে৷ তিনি আরও বলেন, ‘‘দেশের সশস্ত্রবাহিনীর হাতেই রয়েছে সার্বভৌমত্ব রক্ষার ভার৷ সেনাবাহিনীর ক্ষমতার উপর সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে দেশের মানুষের৷’’ 

এদিকে চিনের সঙ্গে একাধিক বৈঠকেও কোনও সুরাহা মেলেনি৷ ডিসএনগেজমেন্ট চুক্তির পরেও গোগরা-হট স্প্রিং এলাকা থেকে সোনা সরাতে প্রস্তত নয় পিএলএ৷ উপরন্তু ডেপস্যাং প্লেইন এবং প্যানগং এলাকায় ঘটেছে চিনা অনুপ্রবেশ৷ তবে গালওয়ান উপত্যকা থেকে পিছু হটেছে দু’দেশের সেনা৷ তৈরি হয়েছে বাফার জোন৷ ফলে এই অঞ্চলে আপাতত টহলদারি চালাচ্ছে না দুই দেশই৷ এদিকে ফিঙ্গার ফোর এবং ফিঙ্গার ফাইভ থেকে পিছু হঠলেও শৈলশিরাগুলি দখল করে রেখেছে চিনা ফৌজ৷

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *